রামপুরহাটঃ “যারা শাঁখা সিঁদুর দেখে দেখে গুলি চালিয়েছিল, সেই পাকিস্তানকে শাঁখা সিঁদুরের মূল্য দিতে হয়েছে। এটা নতুন ভারত। এই ভারত আধুনিক চোখ দিয়ে স্বপ্ন দেখার ভারত। এই ভারত প্রত্যাঘাত করতে জানে। এই ভারত অপারেশন সিঁদুর করতে জানে।” রবিবার বীরভূমের রামপুরহাট কালিসাড়া আমতলা পুজো কমিটির পুজোর উদ্বোধন করতে এসে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্য সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
রবিবার কলকাতা থেকে সড়ক পথে বীরভূমে আসেন রাজ্য সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। প্রথমে তারাপীঠে পুজো দেন। বিকেলে রামপুরহাট কালিসাড়া আমতলা পুজো কমিটির উদ্বোধন করেন। পুজো কমিটির এবারের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’। সেই প্রেক্ষাপটে সাংসদ বলেন, “মহিলা পরিচালিত এই পুজো কমিটি যেভাবে অপারেশন সিঁদুর থিম তৈরি করে সিঁদুরের সম্মান রেখেছে সেভাবে বীর সিংহ পুরুষরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলেই বীরভূমের আত্মমর্যাদা রক্ষা পাবে”।
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু ও সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল বলেছিলেন, যারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে গিয়েছেন, তারা যদি মনে করেন সেখানে তারা বসবাস করতে পারছেন না, বসবাসের অনুপযোগী জায়গা হয়ে গিয়েছে, তারা যদি জীবনজীবিকা রক্ষার জন্য ভারতবর্ষে আসেন তাহলে ভারত সরকারের দায়িত্ব হল তাদের জীবনজীবিকাকে রক্ষা করা। উনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে যারা শাসন ব্যবস্থায় ছিলেন তারা সেই ব্যক্তিদের গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু অবলম্বন করেননি। অবলম্বন করেছিলেন পৃথিবীর জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটা সময় ছিল যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আমাদের সেনাদের মাথা কেটে আমাদের সীমানায় ফেলে চলে যেত। আর আমরা মোটা ফাইল তৈরি করতাম। লিখিত আকারে আন্তর্জাতিক আঙিনায় গিয়ে আমাদের বক্তব্যকে তুলে ধরতাম। এখন ভারত প্রত্যাঘাত করে বুঝিয়ে দিয়েছে আর কাগজে লেখা হবে না, বদলা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় মহিলা সেনাদের সম্মান জানাতে এখানকার মহিলারা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই”।
অপারেশন সিঁদুর মণ্ডপ প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় মহিলা সেনাদের সম্মান জানাতে সারা রাজ্যে অপারেশন সিঁদুর মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। অনেক জায়গায় পুলিশ কালো কাপড় দিয়ে মণ্ডপ ঢেকে দিয়েছে। কিন্তু এখানে পারেনি। কারণ এখানে মায়েরাই মা দুর্গা রূপে মণ্ডপ আগলে রেখেছেন”।
বাংলাদেশে মন্দির ভাঙা প্রসঙ্গে শমীক বলেন, “দুর্গা পুজোকে কলঙ্কিত করার প্রচেষ্টা ওপার বাংলায় চলছে। বাংলাদেশেও রবীন্দ্রনাথ জ্বলছেন, পশ্চিমবঙ্গেও রবীন্দ্রনাথ জ্বলছেন। বাঙ্গালির বীর সন্তান সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি বাংলাদেশে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও দুর্গা পুজো বন্ধের চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ যেন বাংলাদেশ না হয়ে যায় সেটা দেখার দায়িত্ব আপনাদের”।