Pay Commission: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষকদের জন্য একটি অত্যন্ত আনন্দের খবর সামনে এসেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় দপ্তর (Department of Expenditure) পে কমিশন (Pay Commission) সংক্রান্ত একটি গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করেছে। এই ঘোষণাটি শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি দেশের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের জন্য এক নতুন আর্থিক উন্নতির দিশা দেখাচ্ছে। এই গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হয়ে গেল যে, নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের কাজ সরকারিভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে।
গেজেট নোটিফিকেশনে কী আছে?
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের জারি করা এই রেজোলিউশনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং কমিশনের সদস্য ও কাজের পরিধিও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি সরকারি কর্মীদের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনার পথ প্রশস্ত করল।
কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রীমতী জাস্টিস রঞ্জনা প্রকাশ দেসাই। এছাড়াও, মেম্বার (পার্ট-টাইম) হিসেবে রয়েছেন প্রফেসর পুলক ঘোষ এবং মেম্বার সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন শ্রী পঙ্কজ জৈন।
কাদের জন্য এই নতুন বেতন কমিশন?
এই বেতন কমিশন মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর আওতায় থাকবেন:
- সেন্ট্রাল গভর্মেন্ট এমপ্লয়ি (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও নন-ইন্ডাস্ট্রিয়াল)
- অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের কর্মীরা
- ডিফেন্স সার্ভিসের কর্মীরা
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কর্মচারী ও অফিসার
- ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের অফিসার ও কর্মীরা
- সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাইকোর্টের কর্মীরা
পর্যালোচনার মূল বিষয়গুলি
কমিশনের প্রধান কাজ হল সরকারি কর্মীদের বেতন এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধাগুলির সামগ্রিক পর্যালোচনা করে সংশোধনের জন্য সুপারিশ করা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল:
- বেতন কাঠামো (Salary Structure): বর্তমান বেতন কাঠামোর পুনর্গঠন।
- বোনাস (Bonus): বোনাসের হার এবং নিয়মাবলী পর্যালোচনা।
- গ্র্যাচুইটি ও অবসরকালীন সুবিধা (Retirement Benefits): গ্র্যাচুইটি এবং অন্যান্য অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধার সংশোধন।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
যদিও এই বিজ্ঞপ্তিটি সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য নয়, তবে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। সাধারণত দেখা যায়, কেন্দ্রীয় পে কমিশন লাগু হওয়ার পর রাজ্য সরকারগুলিও নিজস্ব পে কমিশন গঠন করে বা কেন্দ্রের কাঠামো অনুসরণ করে বেতন সংশোধন করে। এই গেজেট নোটিফিকেশনে বিশেষভাবে সমস্ত রাজ্য সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা ও সহায়তা (Fullest Cooperation and Assistance) চাওয়া হয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট যে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব রাজ্যের কর্মীদের উপরেও পড়তে চলেছে, যা রাজ্য কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) বা নতুন বেতন স্কেলের দাবিকে আরও জোরালো করতে পারে।
সময়সীমা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
কমিশনকে তাদের কাজ শেষ করে সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য ১৮ মাস (18 months) সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আগামী দেড় বছরের মধ্যেই নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে যাবে। কর্মীদের এখন কমিশনের কাজের অগ্রগতির দিকে নজর রাখা এবং নিজ নিজ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে দাবি-দাওয়া পেশ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।














