Pay Commission DA: রাজ্যের সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়া নিয়ে ফের সরব হল শিক্ষক সংগঠনগুলি। ইউনিটি ফোরামের পর এবার ‘শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’ সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মেটানো এবং অবিলম্বে নতুন বেতন কমিশন গঠনের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে এই চিঠি পাঠানো হয়, যা প্রশাসনিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ এবং বেতন কাঠামো নিয়ে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এবং স্বচ্ছ বেতন কাঠামোর দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হলেও, এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংগঠনের আশা, সরকার এই বিষয়গুলি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করবে।
চিঠির মূল বিষয়বস্তু ও তথ্য
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে পাঠানো এই চিঠিতে মূলত দুটি প্রধান বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। নিচে চিঠির বিস্তারিত তথ্য একটি টেবিলের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো:
| বিবরণ | তথ্য |
|---|---|
| প্রেরক সংগঠন | শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ |
| প্রতিনিধি | কিঙ্কর অধিকারী (সাধারণ সম্পাদক) |
| প্রাপক | মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
| চিঠির তারিখ | ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ |
সংগঠনের প্রধান দাবিগুলি কী কী?
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ তাদের চিঠিতে মূলত দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবি পেশ করেছে, যা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীর স্বার্থের সাথে জড়িত:
- বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) প্রদান: চিঠিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI) অনুযায়ী বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সরকারি কর্মীদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
- সপ্তম বেতন কমিশন গঠন: কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কর্মীদের জন্য এখনও সপ্তম বেতন কমিশন গঠিত না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অতীতে কেন্দ্রের বেতন কমিশন গঠনের পরেই রাজ্যে নতুন কমিশন গঠিত হতো। সেই প্রথা মেনে অবিলম্বে রাজ্যের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সরকারি কর্মীদের প্রত্যাশা ও বর্তমান পরিস্থিতি
চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজ্য সরকার যদি এই দাবিগুলির বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে তা শিক্ষক ও কর্মচারীদের আর্থিক সংকট লাঘব করতে সাহায্য করবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকার ফলে কর্মীদের মধ্যে যে হতাশা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে এবং তাদের কর্মউৎসাহ ও মনোবল বৃদ্ধি করতে সরকারের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।
সংগঠনটি মনে করিয়ে দিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এবং সময়োপযোগী বেতন কমিশন না থাকায় রাজ্যের মেধাবী শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন। ২০২৫ সালের শেষলগ্নে এসে এই চিঠি সরকারের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে এবং ২০২৬ সালের শুরুতে কর্মীদের জন্য কোনো সুখবর আসে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Follow Us














