PM Kisan Update: পিএম কিষান সম্মান নিধির টাকা পাচ্ছেন না? ২০২৫ সালের নতুন নিয়মে অনলাইনে ফর্ম আপডেট ও ভুল সংশোধনের পদ্ধতি জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

PM Kisan Update: পিএম কিষান সম্মান নিধি যোজনায় আবেদন করেও অনেক কৃষক তাদের প্রাপ্য কিস্তির টাকা পাচ্ছেন না। এর মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে আবেদনপত্রে থাকা নানাবিধ ভুল, বিশেষ করে জমির তথ্যে গরমিল। কৃষকদের এই সমস্যা সমাধানে পোর্টালটিতে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ‘Edit/Update Self Registered Farmer Details’ অপশনটি সক্রিয় করা হয়েছে। তবে ২০২৫ সালে এই সংশোধন প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা ধাপে ধাপে জেনে নেব কীভাবে আপনি বাড়িতে বসেই আপনার ভুল তথ্য সংশোধন করবেন।

সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করবেন কীভাবে?

অনলাইনে ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমেই আপনাকে পিএম কিষানের অফিসিয়াল পোর্টালে যেতে হবে। সেখানে ‘Update Self Registered Farmer Details’ লিংকে ক্লিক করার পর আপনার আধার নম্বর ও ক্যাপচা কোড দিয়ে সার্চ করতে হবে। এরপর আপনার দেওয়া তথ্য স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। সেখানে ‘Action’ কলামের নিচে থাকা এডিট বোতামে ক্লিক করলে আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি দিয়ে ভ্যালিডেট করলেই মূল ফর্মটি খুলে যাবে।

জমির মালিকানা অনুযায়ী সঠিক অপশন নির্বাচন

ফর্মটি খোলার পর আপনাকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আপনার জমির মালিকানার সময়কাল অনুযায়ী অপশন বেছে নিতে হবে। এখানে দুটি প্রধান ভাগ রয়েছে:

১. ২০১৯ সালের পূর্বে কেনা জমি: যদি আপনার জমি ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালের আগে কেনা বা রেজিস্ট্রি করা হয়ে থাকে এবং আপনি আগে আবেদন করেও টাকা পাননি, তবে আপনাকে এই অপশনটি বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘Land Transfer Status’ এ ডিফল্ট হিসেবে ২০১৯ সালের আগের তারিখটিই দেখাবে।

২. ২০১৯ সালের পরে মালিকানা প্রাপ্তি: ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালের পর যারা জমির মালিক হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে নিয়মটি একটু ভিন্ন। সাধারণ কেনা জমিতে এখন আর নতুন করে পিএম কিষান পাওয়া যাচ্ছে না। এই সুবিধা কেবল তাঁরাই পাবেন যারা উত্তরাধিকার সূত্রে অর্থাৎ বাবা, মা বা স্বামী/স্ত্রীর মৃত্যুর পর জমির মালিকানা পেয়েছেন এবং পূর্ববর্তী মালিক পিএম কিষানের সুবিধাভোগী ছিলেন।

স্বামী বা স্ত্রীর তথ্য ও আধার যাচাইকরণ

নতুন নিয়মে বিবাহিত কৃষকদের জন্য স্বামী বা স্ত্রীর (Spouse) তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফর্মে স্বামী বা স্ত্রীর নাম এবং আধার নম্বর দেওয়ার পর ‘Demo Authentication’ করতে হবে। এটি সফল না হলে ফর্ম সাবমিট করা যাবে না। তবে যারা অবিবাহিত, তাদের ক্ষেত্রে এই অপশনটি প্রযোজ্য নয়। এছাড়া রেশন কার্ড নম্বর এবং আপনি মানধন যোজনায় অংশ নিতে ইচ্ছুক কি না, তাও উল্লেখ করতে হবে।

জমির সঠিক বিবরণ ও দলিলাদি আপলোড

জমির তথ্য বা ল্যান্ড ডিটেলস সেকশনে জেলা, ব্লক ও গ্রামের নাম নির্বাচন করার পর আপনার খতিয়ান ও দাগ নম্বর যোগ করতে হবে। দাগ নম্বরের ক্ষেত্রে স্ল্যাশ (/) ব্যবহার না করে সাধারণ সংখ্যা দেওয়াই ভালো। জমির পরিমাণ হেক্টরে উল্লেখ করতে হবে। সবশেষে জমির পর্চা বা খতিয়ানের স্ক্যান কপি পিডিএফ ফরম্যাটে (সর্বোচ্চ ২০০ কেবি) আপলোড করে ফর্মটি সাবমিট করতে হবে।

অনলাইন সাবমিশনের পর আপনাকে কিছু নথি স্থানীয় কৃষি দপ্তর বা বিডিও অফিসে জমা দিতে হতে পারে। নিচে প্রয়োজনীয় নথির তালিকা দেওয়া হলো:

ক্রমিক নং প্রয়োজনীয় নথিপত্র (হার্ড কপি)
অনলাইন আবেদন বা সংশোধনের প্রিন্ট আউট
আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডের জেরক্স
ব্যাংক পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স
জমির আপডেট করা পর্চা বা খতিয়ান
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির আধার (প্রযোজ্য হলে)

সতর্কবার্তা: যদি দেখেন যে আপনার জমির আসল তথ্যের সাথে পোর্টালে দেখানো অপশনগুলি (যেমন সাল বা তারিখ) মিলছে না, তবে জোর করে অনলাইনে ভুল তথ্য দেবেন না। সেক্ষেত্রে সরাসরি ব্লক কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করাই শ্রেয়।

বিঃদ্রঃ এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে তৈরি। আর্থিক লেনদেন বা সরকারি যোজনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সর্বদা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করুন।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন