উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ স্যার ক্রিক অঞ্চলে কোনও আগ্রাসন হলে তার “জোরালো জবাব” দেওয়া হবে, যা “ইতিহাস এবং ভূগোল” বদলে দিতে পারে! বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। গুজরাটের ভূজ-এর কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সেনাদের সঙ্গে দশেরার উৎসব পালনের দরুন ‘শস্ত্ৰ পুজা’ (অস্ত্রের পুজা) করার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাজনাথ সিং-এর মন্তব্যের মূল আকর্ষণ ছিল বিতর্কিত স্যার ক্রিক অঞ্চল। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেন, “স্যার ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের জোরালো জবাব দেওয়া হবে, যা ইতিহাস এবং ভূগোল উভয়ই বদলে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী লাহোর পৌঁছানোর ক্ষমতা দেখিয়েছিল। আজকের ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত যে করাচি যাওয়ার একটি পথ এই ক্রিক দিয়েই যায়।”
‘স্যার ক্রিক’ হল গুজরাতের কচ্ছের রণ এবং পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি মোহনা। দুই দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যার কারণে এটি একটি বিতর্কিত অঞ্চল। এই প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, “৭৮ বছরের স্বাধীনতার পরেও স্যার ক্রিক এলাকায় সীমান্ত বিরোধ চলছে। ভারত বারবার আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ত্রুটিপূর্ণ এবং অস্পষ্ট।” তিনি আরও দাবি করেন, “স্যার ক্রিকের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পাকিস্তানের সামরিক পরিকাঠামোর সাম্প্রতিক সম্প্রসারণ তাদের ‘উদ্দেশ্য’ আরও স্পষ্ট করেছে।” উল্লেখ্য, এই স্যার ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তান নতুন করে সেনা মোতায়েন শুরু করার পর থেকেই এই উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
রাজনাথ সিং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সামরিক উদ্দেশ্যগুলি সফলভাবে অর্জন করার জন্য এদিন ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে অভিনন্দনও জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট করেন যে, যুদ্ধ শুরু করা এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল না, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করাই ছিল উদ্দেশ্য।