উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্ক বিতর্ক, ট্রাম্পের নয়া ভিসানীতির আবহেই সোমবার নিউইয়র্কে সাক্ষাৎ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar) ও মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও (Marco Rubio)। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (UNGA) ফাঁকেই বৈঠক সারেন দু’জনে। এই বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। আর বৈঠক শেষে রুবিও জানিয়েছেন যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আমেরিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিগত জুলাই মাস থেকেই ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এই পরিস্থিতির মাঝে জয়শংকর ও রুবিওর বৈঠক যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে তা প্রথম থেকে আশা করা হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষেই রুবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে বাণিজ্য, জ্বালানি, ওষুধ, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং দুই দেশের সমৃদ্ধি তৈরির জন্য আরও অনেক কিছু রয়েছে।’ এরপরই মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘আমেরিকার কাছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, এবং অন্যান্য বিষয় সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য ভারত সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেছেন তিনি।’ সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে যে, কোয়াড সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত বাণিজ্য চালিয়ে যেতে ভারত-আমেরিকা আগের মতোই একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন রুবিও এবং জয়শংকর।
অন্যদিকে এই বৈঠকের পর ভারতের বিদেশমন্ত্রীও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘নিউইয়র্কে বিদেশসচির মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেখা করে ভালো লেগেছে। বর্তমান উদ্বেগের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক দিক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতির জন্য যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছি আমরা।’
উল্লেখ্য, ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এবং এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানোর পর এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন রুবিও ও জয়শংকর। চলতি বছরে এনিয়ে তিনবার দেখা হল দু’জনের। এর আগে জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে বিদেশমন্ত্রীদের কোয়াড বৈঠকে তাঁদের দেখা হয়েছিল। এরপর গত জুলাই মাসে ওয়াশিংটনে দ্বিতীয় কোয়াড বৈঠকের সময় ফের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা।