Bangla News Dunia , পল্লব : পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, যার উত্তর এখনও বিজ্ঞানীরা খুঁজছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর ভেতরের অংশ গরম ও কঠিন লোহা দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে চৌম্বক ক্ষেত্র এবং মহাকর্ষ বল তৈরি হয়। পৃথিবীর কেন্দ্রে ঘূর্ণনের কারণে এটি ঘটে। তবে পৃথিবীর ঘূর্ণন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে বা বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করলে কী হবে? পৃথিবীতে কি প্রবল ভূমিকম্প হবে ? মহাকর্ষ বল কি শেষ হয়ে যাবে ? উত্তর খুঁজেছেন বিজ্ঞানীরা।
আরো পড়ুন :- বিয়ের ন্যূনতম বয়সের নির্দিষ্টকরণ ! কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
নেচার জিওসায়েন্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় 70 বছর পর পর পৃথিবীর কেন্দ্রে ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন হয়। তবে এখন বিশ্বাস করা হচ্ছে যে এই পরিবর্তনটি 17 বছরে ঘটবে এবং পৃথিবীর কেন্দ্র বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করবে। একটি দল দাবি করেছে যে, পৃথিবী তার ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করতে পারে। 2009 সালে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোরের ঘূর্ণন থেমে যায়। তারপর তা আশ্চর্যজনকভাবে বিপরীত দিকে ঘুরে যায়।
আরো পড়ুন :- শিল্পে লগ্নি টানায় প্রথম দশেও নেই বাংলা ! মাথায় হাত মুখ্যমন্ত্রীর
নেচার জিওসায়েন্সে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ব্যাখ্যা করেছে যে, পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণন এর উপরিভাগকে স্থির করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় 70 বছর পর পৃথিবীর আবর্তনে পরিবর্তন হবে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘূর্ণন বন্ধ করে দিলে বা দিক পরিবর্তন করলে পৃথিবীতে কোনও বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বে না।
পৃথিবী অবিরাম ভাবে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে চলছে। প্রতি ঘন্টায় 1670 কিলোমিটার বেগে। এ কারণেই দিন রাত হয়। এ কারণেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তও ঘটে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল