Bangla News Dunia : S. Datta Roy – গোটা পৃথিবী জুড়েই রোজই তারপমাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে আর এই পরিবর্তনের জন্যই বিশ্বে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এতো বেড়ে গেছে যে বিশ্বের মহাসাগরগুলি ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে। নাসা জানাচ্ছে -মহাসাগরগুলি গরম হওয়ার ফলে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের চারপাশের অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বাড়বে। বর্তমানে যে পরিমানে পৃথিবীতে গ্রীন হাউস গ্যাস নিস্সরণ হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ সেলসিয়াস বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন আইপিসিসি।
ভূ -পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়লেই বিষয়জুড়ে বন্যা ,ঝড় দেখা দিতে পারে। সাগর উষ্ণ হলে সেখানে জীবকুলের জীবনযাত্রা অসম্ভব। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে জলে CO 2 ও এসিডের -র পরিমান বেড়ে যায় ও অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় । আর এই এসিডের জন্য নানা প্রজাতির জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। গরম অক্সিজেনহীন জলে বিষাক্ত শ্যাওলা জন্ম নেয়। প্রচুর মাছ মরে যাবে ।সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা বাড়ার ফলে লস এঞ্জেলে ফেব্রুয়ারি মাসেই গরম পরে গেছে। দুই মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাচ্ছে। উষ্ণায়নের ফলে সারা পৃথিবীতে ঝড়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে। নাসা জানাচ্ছে -বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে অনেক অনেক জায়গায় দাবানল ও খরা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও বেশি এবং বরফ গোলে পুকুর হচ্ছে ।
Highlights
১. মহাসাগরগুলি গরম হওয়ার ফলে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের চারপাশের অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বাড়বে।
২. গরম অক্সিজেনহীন জলে বিষাক্ত শ্যাওলা জন্ম নেয়।
৩. দুই মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাচ্ছে।
# বিশ্ব উষ্ণায়ন # প্রাকৃতিক বিপর্যয় # বিপন্ন জীবকুল