Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ৭০-৮০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লাগাতার জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্ব উষ্ণায়নের মাধ্যমেই বিপর্যয় নামবে। এক এক করে হারিয়ে যাবে নানা প্রাণ। ভূমিকম্প,তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি, অগ্ন্যুৎপাতের মতো বিষয় গুলি জুরাসিক যুগেও বেড়েছিল। আবারও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসছে। ফলে বাড়ছে আশঙ্কা।
বর্তমানে মেরু অঞ্চলে অগ্ন্যুৎপাতও বাড়ছে। আসলে মেরু অঞ্চলে প্রতি মুহূর্তে স্কিড করে। এখন নর্থ পোল যে জায়গায় রয়েছে, তা আগে ছিল না। স্বাভাবিকভাবে ওই এলাকাও আগে এখানে ছিল না। অন্য মহাদেশ ছিল। প্লেট টেকটনিকের ফলে সাউথ পোল থেকে সরে যাবে। এই পদ্ধতিটা কিন্তু সবসময়ই চলছে। আমরা কখনও বুঝতে পারি না।
এই প্লেট টেকটনিকের অর্থ হল, কখনও দু’টি প্লেট কাছাকাছি চলে আসছে, আবার কখনও দূরে সরে যাচ্ছে। দু’ক্ষেত্রেই লাভা নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের সাউথ পোলের একদিকে প্রশান্ত মহাসাগর। অন্যদিকে, আটলান্টিক মহাসাগর। দুই মহাসাগরের কোথাও যদি প্লেটের স্থানান্তর ঘটে তাহলেই কিন্তু অগ্ন্যুৎপাতের একটা মারাত্বক সম্ভাবনা তৈরি হবে।
আগে ওই এলাকার পুরোটাই বরফাবৃত ছিল। এখন সেই বরফ গলতে শুরু করেছে। বরফের একটা চাপ থাকে ভূমিভাগে। এই মুহূর্তে মেরুর বরফ ধীরে ধীরে গলতে শুরু করেছে। ফলত যে চাপ ছিল সেটা হ্রাস পাওয়ায় স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হচ্ছে। যদি ভূমিভাগের উপর থেকে চাপ সরে যায় তাহলে সেই স্থান থেকে লাভা নিগর্মণ হয়।
অগ্ন্যুৎপাত আরও বাড়বে। বর্তমানে দক্ষিণ মেরুতে যেটা হচ্ছে, সেটা সমস্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই হবে। উত্তর মেরুতেও তো শুরু হয়ে গিয়েছে বিষয়টি। গ্রিনল্যান্ডে একের পর এক ভূমিকম্প হচ্ছে। ক্রমাগত গরম বাড়ছে। এটা যখন এক্সট্রিম কন্ডিশনে চলে যাবে তখন সমস্ত বরফ গলে যাবে। যার ফলে উপকূলবর্তী এলাকা গুলি ডুবতে শুরু করবে।
বর্তমানে পৃথিবীর ২৯ শতাংশ স্থলভাগ এবং ৭১ শতাংশ জলভাগ। পৃথিবীর সমস্ত এলাকার বরফ গলে গেলে ৭৯ শতাংশ জলভাগ হয়ে যাবে। ৮ শতাংশ এলাকা ডুবে যাবে তা দ্রুতগতিতে। তাপ বিকিরণের জন্য খুব দ্রুত শীতল হতে শুরু করবে পৃথিবী। এর ফলে পুরো বাস্তুতন্ত্রটাই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। একের পর এক প্রাণ পৃথিবী থেকে সরে যাবে। সবার আগে সরবে সবচেয়ে উন্নত প্রাণ। প্রথমে মানুষকে সরে যেতে হবে। এরপর বাকিরা সরবে। শেষ পর্যন্ত গোটা পৃথিবী বরফে ঢেকে যাবে।
এর আগেও কিন্তু হিমযুগ এসেছে। সকলেই সেটা জানে। সেক্ষেত্রে অবলুপ্ত হয়েছিল ডাইনোসর। জুরাসিক পিরিয়ডের দরুণ প্রশান্ত মহাসাগরের আশেপাশের সমস্ত আগ্নেয়গিরি হঠাৎ করে জেগে উঠেছিল। সেখান থেকে ধুলো , লাভা নিঃসৃত হবে। এতে দূষণ বেড়েছিল। একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল