Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : শুকিয়ে যাচ্ছে গঙ্গার জল ! বিগত কয়েক বছর ধরেই দাবি ঘিরে উদ্বেগ রয়েছে দেশে। গঙ্গানদীর জল শুকিয়ে যাওয়ার জেরে কী কী প্রভাব পড়তে পারে, ভেবেই আতঙ্কিত পরিবেশবিদরা। মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে হিমবাহ দ্রুত গলে যাওয়া। কতটা সত্যতা রয়েছে এই দাবির মধ্যে ? সম্প্রতি গবেষণা জানাচ্ছে, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। হিমালয়ের হিমবাহ দ্রুত গলে যাওয়ার জন্য গঙ্গানদীর জল শুকিয়ে যাচ্ছে না।
সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, হিমবাহের দ্রুত গলে যাওয়ার প্রভাবে গঙ্গার জল শুকিয়ে যাওয়ার দাবি সম্পূর্ণ ভুল। বড়জোর এক শতাংশ জল শুকিয়ে যেতে পারে। গবেষণা আরও জানাচ্ছে, বৃষ্টি এবং বরফ গলা জলই নদীর জলের উৎস। ফলে পৃথিবী থেকে সমস্ত হিমবাহ গলে উধাও হয়ে গেলেও নদীর জল শুকোবে না। তাঁদের দাবি, হিমবাহ গলে যাওয়ার জেরে কোনওভাবেই নদীর জল শুকিয়ে যাবে না। এও বলেন, পূর্বে এই নিয়ে বিভ্রান্তিকর ধারণা দেওয়া হয়েছিল।
শেষ তুষারযুগ অর্থাৎ ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে থেকেই হিমবাহ গলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ISRO-র একটি গবেষণা জানাচ্ছে, স্যাটেলাইট ডেটা অনুযায়ী ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত হিমবাহ গলে যাওয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি। এই সময়ের মধ্যে ২০১৮টি হিমবাহের উপর নজর রাখে ISRO স্যাটেলাইট। এর মধ্যে ১৭৫২টি হিমবাহের পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও ২৪৮টি হিমবাহ দ্রতহারে গলছে বলে দেখা গিয়েছে। ১৮টির পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ।
গবেষণা জানাচ্ছে, অনেকক্ষেত্রেই শোনা গিয়েছে, গঙ্গোত্রী হিমবাহ দ্রুতহারে গলছে এমন খবর মিলেছে। এই হিমবাহটি ৩০ কিলোমিটার লম্বা। এই পরিস্থিতি অ্যালার্মিং বলেই মনে করছেন পরিবেশ বিশারদরা। তবে এই নিয়ে বেশিরভাগ সময় অযথা আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও মনে করছেন গবেষকরা। ২০৩৫ সালের মধ্যে গঙ্গোত্রী হিমবাহ সম্পূর্ণ রূপে গলে যাবে এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল বলেও মনে করা হচ্ছে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল