রাজা বন্দোপাধ্যায়, বারাবনি: দুর্গাপুরের ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে চাইছে। চেষ্টা করছে ভেদাভেদ তৈরিরও। মঙ্গলবার আসানসোলের বারাবনির জামগ্রামে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি (BJP) রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করছে। দুর্গাপুরকাণ্ড (Durgapur Gang Rape) নিয়ে জাত-ধর্ম টেনে বাংলাতে নানাভাবে ভাগ করার চেষ্টা করছে।’ তাঁর কথায়, ‘ধর্ষক বা ধর্ষণের কোনো জাত-ধর্ম দিয়ে বিচার হয় না। এদের পরিচয় একমাত্র এরা অপরাধী।’ শশী পাঁজা বলেন, ‘জয়পুর, ওডিশা, ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে যে ধর্ষণের ঘটনাগুলি ঘটছে তা নিয়ে তারা চুপ কেন? আমরা যদিও এটাকে সামাজিক অবক্ষয়ের অপরাধ বলে মনে করি?’
কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের মানুষের সমস্ত কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে বলে এদিন সরব হন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর প্রতিটি জায়গায় নিজে পৌঁছেছেন। ত্রাণের ব্যবস্থা নিয়ে খোঁজখবর করে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের মানুষের সমস্ত কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। বছরের পর বছর বাংলার বাড়ি থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এটা এই রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরই কাজ।’
অনুপ্রবেশের বিষয় ও এসআইআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিহারে ৬৬ লক্ষ লোকের নাম বাদ গিয়েছে। তার মধ্যে একজনও রোহিঙ্গা আছে বলে কমিশন কিন্তু জানায়নি। পশ্চিমবঙ্গতেও বিজেপির কথায় নির্বাচন কমিশন এই কাজ করতে চায়। আমাদের দাবি, একজনও প্রকৃত ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। আর যদি কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকে থাকে তার দায়িত্ব বিএসএফের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা-ও এর দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না। এর জবাব তাদেরকেই দিতে হবে।’ এদিনের অনুষ্ঠানে বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।