পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার কাজ। এরপর ৯ ডিসেম্বর একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। আর সেই তালিকার উপর ভিত্তি করে চলবে সংশোধনের কাজ। এই গোটা প্রক্রিয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল হিয়ারিং ও ভেরিফিকেশন, যা আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে।
তবে এবার স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, এই হিয়ারিং-এ কারা ডাক পাবেন আর কেনই বা ডাক পড়তে পারে? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চোখ রাখুন আজকের প্রতিবেদনটির উপর।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই হিয়ারিং?
আসলে যে কোনও নির্বাচনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিশুদ্ধ ভোটার তালিকা। ভুল তথ্য থেকে শুরু করে ভুয়ো এন্ট্রি বা অসামঞ্জস্য তথ্য থাকলে ভোটারদের অধিকার ক্ষুন্ন হতে পারে। সে কারণে কমিশন প্রতিটি সন্দেহজনক বা অসম্পূর্ণ তথ্যকে যাচাই করার জন্য হিয়ারিং এর ব্যবস্থা করে রেখেছে।
কাদের ডাক পড়তে পারে হিয়ারিং-এ?
আসলে হিয়ারিং-এ শুধুমাত্র সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ডাকা হতে পারে যাদের—
- ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের নাম নেই, এমনকি তাদের জমা দেওয়া তথ্যে কোনওরকম সন্দেহ মনে হলে কমিশন তাদেরকে ডেকে পাঠাতে পারে। আর এক্ষেত্রে বৈধতা প্রমাণ করার জন্য ১১ ডকুমেন্টের ভিতর যেকোনও একটি দিতে হবে।
- যাদের পরিবারের কারোর নাম ২০০২ সালে লিস্টে নেই, তাদের হিয়ারিং-এ ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। আর হিয়ারিং-এ গিয়ে আধার কার্ড ছাড়া বাকি ১১টি ডকুমেন্টের মধ্যে একটিকে দেখাতে হবে।
- যারা এনুমারেশন ফর্ম ফরম পূরণ করার সময় তাড়াহুড়ো করে কোনও ভুল তথ্য দিয়ে ফেলেছেন যেমন ঠিকানা, জন্ম তারিখ, নামের বানান বা জায়গার বিবরণ, তাদেরকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হতে পারে।
- ফর্ম ফিলাপের সময় যদি বিএলও কোনওরকম আবেদনে গড়মিল বা অস্পষ্টতা দেখতে পায়, তাহলে সেই সমস্ত ভোটারদেরকে ডাকা হতে পারে।
- কখনো কখনো কোনও তথ্য স্বভাবগতভাবেই সন্দেহজনক মনে হলে কমিশন তা যাচাই করার জন্য আবারও হিয়ারিং-এ ডাকা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ SIR-র ফর্ম এই ভুলগুলির কারনে বাতিল হবে! আগেভাগেই জানুন, নাহলে সমস্যায় পড়বেন
তবে বলে রাখি, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই করার পর ফাইনাল ভোটার লিস্ট বেরোবে। আর সেখানেই বৈধ ভোটারদের নাম থাকবে।














