SIR: পয়লা নভেম্বর থেকে শুরু পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা সংশোধন ২০২৫: বয়স অনুযায়ী কী কী নথি লাগবে? সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Voter List Revision: পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫ (Special Intensive Revision – SIR) আগামী পয়লা নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে। দেশজুড়ে চলা বিতর্কের মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন বাংলায় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া শুরুর দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। এই সংশোধনীর জন্য আপনার বয়স অনুযায়ী কোন কোন নথিপত্র প্রয়োজন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এই প্রতিবেদনটি আপনাকে সাহায্য করবে।

আপনার জন্ম সালের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের তালিকাটি তিনটি ভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সঠিক প্রস্তুতি নিলে এই প্রক্রিয়াটি আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে উঠবে।

SIR-এর জন্য কোন ১১টি নথি বৈধ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে?

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, পরিচয় এবং বয়সের প্রমাণ হিসেবে নিম্নলিখিত ১১টি নথির যে কোনও একটি জমা দেওয়া যেতে পারে:

  • যেকোনো কেন্দ্রীয়/রাজ্য সরকার/PSU-এর নিয়মিত কর্মচারী বা পেনশনভোগীর নামে জারি করা পরিচয়পত্র বা পেনশন সার্টিফিকেট।
  • ০১.০৭.১৯৮৭ সালের আগে সরকার/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ/ব্যাঙ্ক/ডাকঘর/LIC/PSU কর্তৃক ভারতে জারি করা যেকোনো পরিচয়পত্র/শংসাপত্র।
  • উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত বার্থ সার্টিফিকেট।
  • পাসপোর্ট।
  • স্বীকৃত বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ম্যাট্রিকুলেশন বা শিক্ষাগত সার্টিফিকেট।
  • উপযুক্ত রাজ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র (Permanent Residence certificate)।
  • বন অধিকার সার্টিফিকেট।
  • ওবিসি/এসসি/এসটি বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা যেকোনো বর্ণ শংসাপত্র।
  • জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (যেখানে এটি বিদ্যমান)।
  • রাজ্য/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুত পারিবারিক রেজিস্ট্রেশন।
  • সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো জমি বা বাড়ি বরাদ্দের সার্টিফিকেট।

১ জুলাই, ১৯৮৭ এর আগে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য নিয়ম

যদি আপনার জন্ম ১ জুলাই, ১৯৮৭ সালের আগে হয়ে থাকে, তবে আপনার জন্য প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। আপনাকে কেবলমাত্র একটি নথি জমা দিতে হবে। এটি উপরে তালিকাভুক্ত ১১টি নথির যেকোনো একটি হতে পারে।

এছাড়াও, যদি আপনার নাম ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে সেই পৃষ্ঠার একটি ফটোকপিই যথেষ্ট হবে। সেক্ষেত্রে অন্য কোনো নথির প্রয়োজন নেই।

১ জুলাই, ১৯৮৭ থেকে ১ জানুয়ারি, ২০০২ এর মধ্যে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য

আপনার জন্ম যদি এই সময়সীমার মধ্যে হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে মোট দুটি নথি জমা দিতে হবে।

  • নিজের জন্য: উপরে তালিকাভুক্ত ১১টি নথির যেকোনো একটি জমা দিতে হবে। যদি ২০০২ সালের মধ্যে আপনার বয়স ১৮ বছর হয়ে থাকে এবং আপনার নাম সেই বছরের ভোটার তালিকায় থাকে, তাহলে সেই তালিকার একটি কপিও জমা দেওয়া যাবে। অন্যথায়, ১১টি নির্দিষ্ট নথির মধ্যে একটি বাধ্যতামূলক।
  • বাবা বা মায়ের জন্য: আপনাকে আপনার বাবা অথবা মায়ের জন্য একটি নথি জমা দিতে হবে। এটি ১১টি নির্দিষ্ট নথির মধ্যে একটি হতে পারে, অথবা ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম থাকলে সেই তালিকার একটি অনুলিপিও দেওয়া যেতে পারে।

১ জানুয়ারি, ২০০২ এর পরে জন্মগ্রহণকারী হলে

যদি আপনার জন্ম ১ জানুয়ারি, ২০০২ সালের পরে হয়, তাহলে আপনাকে মোট তিনটি নথি জমা দিতে হবে।

  • নিজের জন্য: যেহেতু ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আপনার নাম থাকার সম্ভাবনা নেই, তাই আপনাকে উপরে তালিকাভুক্ত ১১টি নথির যেকোনো একটি অবশ্যই জমা দিতে হবে।
  • বাবার জন্য: তালিকাভুক্ত ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি অথবা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার একটি কপি জমা দিতে হবে (যদি তাঁর নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে)।
  • মায়ের জন্য: আপনার মায়ের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। তালিকাভুক্ত ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি অথবা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার একটি কপি জমা দিতে হবে (যদি তাঁর নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে)।

এই প্রতিবেদনটি আপনাকে বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫-এর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেবে। আগে থেকে সঠিক তথ্য যাচাই করে প্রস্তুতি নিলে ভোটার তালিকা-সম্পর্কিত সমস্ত প্রক্রিয়া মসৃণভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন