SSC SLST Exam: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসল বাংলাদেশি নাগরিক! নদিয়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

SSC SLST Exam: রাজ্য জুড়ে যখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসার অভিযোগ উঠেছে এক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে। স্বরূপ সরকার নামে ওই ব্যক্তি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং জালিয়াতি করে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড জোগাড় করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।

কীভাবে ঘটল এত বড় জালিয়াতি?

গত ৭ই সেপ্টেম্বর, রাজ্যের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য আয়োজিত এসএসসির পরীক্ষায় বসেছিলেন স্বরূপ সরকার। অভিযোগ, তিনি আদতে একজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাঁর কাছে ভারতের কোনো বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অর্গানাইজেশন (এফআরআরও) এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এবং এসএসসি-কে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বরূপ সরকার অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছেন এবং তাঁর নাম বেআইনিভাবে ভোটার তালিকাতেও তোলা হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটও জাল?

তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। স্বরূপ সরকারের কাছে কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটও রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এই সার্টিফিকেটগুলি আসল না কি জাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি এই নথিগুলি জাল প্রমাণিত হয়, তবে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার গভীরে যে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে রয়েছে, তা আরও একবার স্পষ্ট হবে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে একজন বিদেশি নাগরিক এত সহজে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পারলেন?

এসএসসি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা

এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে যে তারা এফআরআরও-এর চিঠি পেয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় পাশ করলেও স্বরূপ সরকারকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে না। কারণ, নিয়োগপত্র দেওয়ার আগে সমস্ত প্রার্থীর নথি কঠোরভাবে যাচাই করা হয়। তবে, কীভাবে একজন বিদেশি নাগরিক জাল নথি দেখিয়ে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে গেলেন, সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর মেলেনি। কমিশনের মতে, আবেদনকারীর নাগরিকত্ব যাচাই করা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, যা আরও বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

এই ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি পরীক্ষার জালিয়াতি নয়, এটি রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি বড়সড় গলদকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। কীভাবে একজন বিদেশি নাগরিক পরিচয় গোপন করে বছরের পর বছর এ রাজ্যে বসবাস করতে পারেন এবং সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার পিছনে কোনো বড় চক্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি উঠেছে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন