আচমকাই স্কুলে স্কুলে বাড়তি ছুটি ! ক্ষুব্ধ শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : বছর ঘুরলেই শুরু হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে থেকেই সাধারণ জনগণের প্রয়োজনকে কাজে লাগিয়ে ফের মাঠে নামল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প যাতে সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য সম্প্রতি আবার শুরু হয়ে গিয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় শিবির চলছে। ২০২০ সালে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। দফায় দফায় ক্যাম্প করে মানুষের দুয়ারে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এগিয়ে এসেছে নবান্ন। কিন্তু এই আবহে এবার দুয়ারে সরকারের জন্য ভুগতে হচ্ছে সরকারি স্কুলগুলোকে।

আরও পড়ুন:– কার্তিক মহারাজকে কেন পদ্ম সম্মান? জানতে বিস্তারিত পড়ুন

স্কুলে স্কুলে দুয়ারে সরকার শিবির!

জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবির করা হয়েছে। এবং এই শিবির করার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলও। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলে শিবির হওয়ার ফলে কোথাও কয়েক পিরিয়ডের পরে ছুটি দিয়ে দিতে হচ্ছে। কোথাও আবার ছুটি দিতে হচ্ছে পুরো স্কুলই। স্থানীয় অভিভাবকরা আবার দাবি করছেন, স্কুল চলাকালীন এভাবে করে মাইক বাজিয়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করার ফলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে জেলায় জেলায় সরকারি ভবন থাকলেও কেন স্কুলকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে?

ছুটির দিনে দুয়ারে সরকার শিবিরের আর্জি

এই প্রসঙ্গে শিক্ষকদের একাংশের মতে, কিছু কিছু স্কুল ভবন বেশ বড়। যার ফলে অতিরিক্ত ক্লাসঘর আছে। তাই স্কুলের কোন এক প্রান্তে দুয়ারে সরকার-এর কাজ হচ্ছে। কিন্তু শিবিরের দিন যে ভাবে মাইক বাজানো হয়, তাতে পঠনপাঠনের পরিবেশ সম্পূর্ণ খারাপ হয়ে যায়। তাই শিক্ষকদের আর্জি, ছুটির দিনে অথবা শনিবার ছুটির পরে কিংবা রবিবার ‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবির করা হোক। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে ঠিক তেমনি ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় নানা সুবিধা হবে।

শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকার প্রসঙ্গে বলেন, “দুয়ারে সরকার-এর জন্য এলাকার কমিউনিটি হলই বেশি নেওয়া হয়। প্রয়োজনে স্কুল নেওয়া হয়। তা-ও স্কুলের তিন-চারটি ঘর নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ হয়। পুরো স্কুল কখনওই নেওয়া হয় না। ফলে পঠনপাঠন ব্যাহত হওয়ার কথা নয়।” আর এই মতব্বে পাল্টা মন্তব্য করেন প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। তিনি বলেন, “যে সব স্কুলের পরিকাঠামো ভাল, সেখানে হয়তো দুয়ারে সরকার-এর কাজ চলাকালীন ক্লাসও করানো যায়। তবে জেলায় এমন বহু স্কুল নেওয়া হয়েছে, যেখানে ক্লাসঘরের সংখ্যা কম। সেখানে পুরো স্কুল ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।”

আরও পড়ুন:– দশ বছরের চুক্তির ভিত্তিতে সরকারি বাসে চালক-কন্ডাক্টর পদে নিয়োগ, সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেটে

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন