Bangla News Dunia, Pallab : আবাস যোজনার সমীক্ষা ঘিরে নানা দুর্নীতি এবং বিক্ষোভের পর অবশেষে রাজ্য সরকার প্রথম প্রতিশ্রুতি পূরণ করল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে উপভোক্তাদের আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান। এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষ ২২ হাজারেরও বেশি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছেছে। বাকিদের অ্যাকাউন্টেও এই সময়সীমার মধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা পাঠিয়ে দিতে হবে বলেই জেলায় জেলায় নির্দেশ পঞ্চায়েত দপ্তরের। কিন্তু এই আবহেও সমস্যা যেন একদমই পিছু ছাড়ছে না। আবাসের বাড়ি না পেয়ে শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন এক বিজেপি কর্মী।
আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?
আবাসের বাড়ি পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন
দলগতভাবে বরাবর বিজেপি। কিন্তু পাকা বাড়ি না থাকায় রাজ্য সরকারের আবাস যোজনার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। বিজেপি করা হয় বলে তাঁর নাম বাতিল করে দিচ্ছে সেখানকার তৃণমূলের লোকেরা। নীচু থেকে ওপর-সব তলার নেতাদের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনো রকম লাভ হয়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক্যা ফোন করে সম্পূর্ণ অভিযোগ জানান তিনি। এলাকায় যাঁদের ছাদ দেওয়া পাকা বাড়ি রয়েছে, যাঁরা সরকারি কর্মচারী, তাঁদের নামও আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার তালিকায় রয়েছে। অথচ, দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী অনেকের নাম ওঠেনি। এবার সেই বিষয়ে নিরে করে বসে প্রশাসন।
কী বলছেন অভিযোগকারী বিজেপি নেতা?
এই প্রসঙ্গে, এদিন পাঁশকুড়া করে ব্লকের হাউর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ছন্দা জানা মণ্ডলের ভাসুর উত্তম মণ্ডল বলেন, “এর আগেও আবাস যোজনার নাম উঠেছে তালিকায়। তবে বিরোধী দল বিজেপি করার জন্য বারবার সেই নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বাড়ির জন্য আবেদন করেছি ও পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সবার, তাই বাড়ি চাইতে কোনও অসুবিধা হয়নি।” তবে তিনি শুধু একা নন। রিপোর্ট সূত্রে জন্য গিয়েছে এইরকম ১২ জনের বেশি বিজেপি নেতা কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে আবাস বাড়ি পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পাঁশকুড়া ব্লকের ২৫৬৭ জনের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই ঢোকা শুরু হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতৃত্ব নিয়ে কটাক্ষ করেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিৎ রায়। তিনি জানিয়েছেন, “সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বিজেপি নেতৃত্বরা বাড়ি নিচ্ছেন অথচ, যাঁদের ভোটে তাঁরা জিতেছেন, তাঁদের কিন্তু এই তথ্য দেননি যে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বাড়ি পাওয়া যায়।”
আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?