Bangla News Dunia, দীনেশ :- করোনা আবহে ভ্রমণের স্থান খুঁজছেন পুজোর কটা দিন শহরের জঙ্গল ছাড়িয়ে প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য, তাঁদের জন্য আদর্শ গৌড়িগাঁও। খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি গৌঁড়িগাও, যতটা চালসা বা চাপরামারি জঙ্গলের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে। আরামে কাটিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ, একটু দূরে পাহাড়ের সারি। এরই মাঝে গোটা গ্রামই যেন প্রকৃতির নিজের হাতে তৈরি।
গৌড়িগাঁও-
নতুন আকর্ষণ রেলের নতুন চালু করা ভিস্তাডোম কোচ। এনজিপি থেকে ভিস্তাডোমে টিকিট কেটে রাখুন আগে, আর সরাসরি সকাল ৯-৩০-এ ছবির মতো সুন্দর স্টেশন “চালসা” তে নামুন। পুরো ট্রেনপথ অত্যাধুনিক ভিস্তাডোমে বসে জঙ্গল আর পাহাড় দেখতে দেখতে আসুন। সত্যি বলতে কি এখানকার হিল টপ পয়েন্ট থেকে চাপরামারি আর গোরুমারা ফরেস্টের সবুজায়ণ দেখতে দেখতে কখন সময় চলে যাবে টের পাবেন না।
আরো পড়ুন:- বর্ষাকালে কমবে বিদ্যুৎ বিল, এই কাজগুলি করলেই হবে
গৌড়িগাঁওকে কেন্দ্র করে ঘুরে নিন স্থানীয় সেভেন পয়েন্টস। অর্থাৎ সামসিং, সুনতালেখোলা, রকি আইল্যান্ড, লালিগুরাস, ঝালং, বিন্দু আর মূর্তি। একটা দিন রাখতে পারেন রঙ্গো, চিসাং, তোদে, দলগাঁও ভিউ পয়েন্ট, প্যারেন, গোরুবাথান, পাপরখেতি, ডালিম, ফাগু, লাল ঝামেলা বস্তি সহ আরও অনেক পরিচিত জায়গা। ইন্টারনেট ঘেঁটে ওদের ওয়েবসাইট বের করে সহজেই বুকিং করতে পারেবেন।
চাপরামারি-
পুজোর ছুটিতে পাহাড়ে না গিয়ে চাপরামারি ফরেস্ট ঘুরে আসতেই পারেন। আর ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে ডুয়ার্সের জঙ্গল আলাদাই আকর্ষণীয়। চালসা থেকে নাগরাকাটা যাওয়ার পথে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কিছুটা এগোলেই দেখা মিলবে মূর্তি নদীর। তাঁরই দুই পাশে চাপরামারি ফরেস্ট। মোট ৯৬০ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে এই সবুজ বনভূমি।
চাপরামারিতে শীতের মরশুমে প্রচুর রংবাহারি প্রজাপতির দেখা মেলে। দেখতে পারেন বাইসন, বাঘ, হাতিরও। তবে ময়ুর পথ চলতে গিয়ে পাওয়া যাবে প্রচুর। এছাড়া আছে বন্য শুকর, চিতা, সম্বর হরিণ। চাপরামারিতে এসে স্পট বুকিং করা যায়। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ বর্ষার জন্য। এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব রিসর্ট রয়েছে জঙ্গলে থাকার জন্য।