Bangla News Dunia, Pallab : খবরের পাতা খুললেই এখন দেখা যাচ্ছে কলকাতা পৌরসভা (Kolkata Municipal Corporation) এলাকায় একের পর এক বহুতল হেলে পড়ছে। বাড়ছে প্রাণসংশয়ের ঝুঁকি। কষ্ট করে খেটে সঞ্চয় করা পুঁজি উজাড় করে দিয়েছেন এক একজন গ্রাহক ফ্ল্যাট নেওয়ার জন্য। এদিকে সেই ফ্ল্যাটই ভেঙে পড়ছে ঝুরঝুর করে। আর এই আবহেই এবার কলকাতা পুরসভা বস্তিবাসীদের জন্য এক নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে। বস্তিমুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে তাই এবার ফ্ল্যাট নির্মাণ করে এবার বস্তিবাসীদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা।
আরও পড়ুন:– কার্তিক মহারাজকে কেন পদ্ম সম্মান? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
বড় উদ্যোগ বস্তিবাসীদের জন্য
দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারদা মায়ের বাগবাজারের বাড়ির এলাকার পরিকাঠামো সুন্দর করে তুলতে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পৌরসভাকে। আর সেই নির্দেশকে পরিপূর্ণ করার জন্য উঠে পড়ে লাগল কলকাতা পুরসভা। তবে এই এলাকার অন্যতম সমস্যা হল বস্তিঘেরা পরিবেশ। ঘিঞ্জি এলাকায় ভরপুর থাকে সবসময়। একটা দুটো শৌচালয়ে ভিড় জমে পুরো বস্তিবাসীদের। তার উপর কলতলায় প্রচুর ভিড়। তাই এবার সেই চিত্র বদলাতে বড় উদ্যোগ নিল পুরসভা। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে গ্রামের পাশাপাশি শহরেও বড় বড় এবার আবাসন বানানো হচ্ছে বস্তিবাসীদের জন্য।
একাধিক ফ্ল্যাট নির্মাণ রাজ্য সরকারের
ইতিমধ্যেই বাগবাজার মায়ের বাড়ি এলাকার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে নতুন ফ্ল্যাট তৈরীর কাজ কতদূর এগিয়েছে তার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন যে, ফ্ল্যাট তৈরির দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে আসছে বছর পুজোর আগেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। সেটা হলেই বস্তিবাসীদের একাংশের হাতে নতুন ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে রতন বাবুর ঘাট এলাকায় ৩০ টি ফ্লাট তৈরি হয়েছে। ১ নম্বর বরোর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২২০ টি ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে আরও ৩০ ফ্ল্যাট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে ৩২ টি ফ্ল্যাট।
থাকছে একাধিক সুবিধা
এছাড়াও জানা গিয়েছে যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে ২০টি ফ্ল্যাট। ৩২ ওয়ার্ডে ২০৮টি এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০০টি ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি আবাসনে ৩০০ টি ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বস্তিবাসীদের জন্য শুধু যে ফ্ল্যাট উপহার দেওয়া হচ্ছে তা কিন্তু নয়, এর সঙ্গে আবাসন নির্মাণ, শুদ্ধ পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং রাস্তা ও নিকাশি নালা তৈরির যাবতীয় খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার নিজেই। এছাড়াও এই আবাসনগুলিতে প্রত্যেক পরিবারের জন্য থাকছে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি শৌচালয় এবং একটি বারান্দা। উচ্চতায় প্রত্যেকটি আবাসন তৈরি করা হচ্ছে ১৫ মিটার। সবমিলিয়ে চার তলার বিল্ডিং হবে।