Bangla News Dunia, দীনেশ :- দক্ষ সংগঠক হিসাবে সবাইকে নিয়ে চলতে পারবেন, এরাজ্যে দলের এমন রাজ্য সভাপতি বাছতে গিয়ে হিমসিম অবস্থা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। বঙ্গ-বিজেপির নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে না পারলে দলের শক্তিক্ষয় রোধ করা যে আদৌ সম্ভব নয়, এটা তাঁরা বুঝছেন। নেতৃত্ব বদলের বিষয়টিও অনেকদিনই বকেয়া। হচ্ছে-হবে করেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বদল সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঝুলেই রয়েছে। সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গে দলের সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে দল যে পশ্চিমবঙ্গে আগের মতো চলছে না বলে শীর্ষ নেতৃত্ব নিশ্চিত। রাজ্য নেতাদের মধ্যে তেমন সমন্বয় নেই বললেই চলে। যে যার নিজের মতো চলছেন, এতেই ঘোর আপত্তি শীর্ষ নেতাদের।
দলের এই গোলমেলে অবস্থায় রাজ্যে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান মার খেয়েই চলেছে। ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের পর থেকে দলের বিপর্যয়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সামাল দিতে রাজ্যে দু’জন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেও লাভ কিছু হয়নি। শুধু দুর্নীতি, আরজি কর এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে বঙ্গ বিজেপির দু-একজন শীর্ষ নেতার বিচ্ছিন্ন আন্দোলনও তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি।
আরো পড়ুন :- ভয়ঙ্কর যুদ্ধ কি আসন্ন ? পাক সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে ১৫ হাজার তালিবান সেনা
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিশ্চিত ধারণা, বঙ্গ বিজেপির প্রকৃত নেতৃত্বহীনতাই দলকে দিন দিন রাজ্যে পিছিয়ে দিচ্ছে। যার একমাত্র দাওয়াই হতে পারে রাজ্য নেতৃত্বের পরিবর্তন। সবাইকে মানিয়ে নিয়ে চলার মতো উপযুক্ত রাজ্য সভাপতির খোঁজে তাঁরা। দক্ষ সংগঠক হিসাবে ভরসা করা যায় এমন কাউকে দরকার। রাজ্যে পরিষদীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের ভরসা আদায় করে নিয়েছেন তিনি। তবে দলে শীর্ষস্থানীয়দের সবাইকে নিয়ে মানিয়ে চলার পরীক্ষায় এখনও পর্যন্ত ‘পাশমার্ক’ নেই তাঁর ঝুলিতে বলেই দিল্লিতে দলের অন্দরমহলের খবর।
এক্ষেত্রে দলে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি প্রবীণ নেতা দিলীপ ঘোষ। সরাসরি এই দু’জনের মধ্যে লড়াই বোঝা না গেলেও তাঁদের দু’জনের ভূমিকায় বিষয়টি মাঝেমধ্যেই স্পষ্ট হয়। দক্ষ সংগঠক হিসাবে দিলীপের ভূমিকা তাঁর পক্ষে ‘প্লাস পয়েন্ট’ হলেও সকলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াটা তাঁর বিশাল ‘মাইনাস পয়েন্ট’ বলেই মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০২৬-এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিতে একজন দক্ষ সংগঠক সভাপতি হিসাবে দিলীপ অনেকটাই এগিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের চোখে। দিলীপ, শুভেন্দু ছাড়াও রাজ্যে জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর মতো দু-একজন শীর্ষ নেতাও বঙ্গ বিজেপির নয়া সভাপতির দৌড়ে আছেন। তবে তাঁদের পক্ষেও দলের নেতৃত্বের বিবিধ চাহিদায় খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না। সেদিক থেকে দক্ষ সংগঠক হিসাবে দিলীপ তুলনায় কিছুটা এগিয়ে। কারণ, তিনি ইতিমধ্যেই পরীক্ষিত। অতীতে রাজ্যে তাঁর সভাপতিত্বেই বিজেপি ২০১৮-র লোকসভা সহ অন্যান্য ভোটে ভালো ফল করেছে।
আরো পড়ুন :- ফোন ধরলেই সর্বনাশ ! এই নম্বরগুলি থেকে কল আসলে ভুলেও তুলবেন না