Bangla News Dunia , পল্লব : আনুমানিক প্রায় 400 বছর আগে দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর-সহ একাধিক জায়গায় ছিল ঘন জঙ্গল। বাকসিদ্ধ তান্ত্রিক বামাচরণ ভট্টাচার্য ধীরে ধীরে জঙ্গল কেটে জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতে গড়ে তোলেন বসত ভিটে ৷ লোকমুখে প্রচলিত কথা অনুযায়ী, সেই সময় বারুইপুর থেকে জয়নগর হয়ে দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের মহাশ্মশান পর্যন্ত আদি গঙ্গার প্রবাহ ছিল । কালের নিয়মে সেই আদিগঙ্গা এখন বিলীন হয়ে গিয়েছে ।
তৎকালীন সময়ে একদিন এলাকার এক স্বনামধন্য জমিদার বেশ কিছু স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে রাজার কাছে খাজনা দেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন ৷ দক্ষিণ বারাসতের এই জায়গাতে এসে জমিদারের সেই স্বর্ণমুদ্রা ডাকাতদের হাতে লুট হয়ে যায় । এরপর সেই জমিদার হতাশ হয়ে এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে তান্ত্রিক বামাচরণ ভট্টাচার্যের কাছে এসে পৌঁছন । তৎকালীন সময়ে তন্ত্রসাধনা করে এলাকায় নাম ডাক করেছিলেন বামাচরণ । জমিদার নিজের অসহায় অবস্থার কথা জানালে আপন সাধনার শক্তিতে বামাচরণ একটি গাছের কথা উল্লেখ করে জমিদারকে বলেন, “ওই গাছের তলায় রয়েছে তোমার স্বর্ণমুদ্রা ।”
আরও পড়ুন : নবজাতক শিশুর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ! জানুন ঔষধ সেবন সম্পর্কে
জমিদার সেই কথা শুনে গাছের কাছে গিয়ে দেখেন লুট হয়ে যাওয়া স্বর্ণমুদ্রা সেই গাছের তলায় রয়েছে । এরপর তিনি সেই স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে রাজার কাছে যান এবং নিজের জমিদারিত্ব রক্ষা করেন ৷ প্রণামীস্বরূপ বামাচরণ ভট্টাচার্যকে তাঁর জমিদারের অংশ থেকে বেশ কিছু জমি দান করেন ৷
বামাচরণ 1593 সালে দক্ষিণ বারাসতে এই ভট্টাচার্য বাড়ির সুবিশাল দালান বাড়ি প্রতিষ্ঠা করে নিজের হাতে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে পুজো শুরু করেন । তান্ত্রিক হওয়ার জন্য তন্ত্র মতে দেবীর আরাধনা করতেন ৷ সেই থেকে এখনও এখানে তন্ত্র মতেই পুজো হয় । তৎকালীন সময়ে বামাচরণ ভট্টাচার্য যে নিয়মকানুন এবং মন্ত্র পুঁথিতে লিখে রেখেছিলেন সেই মন্ত্রোচ্চারণেই এখনও পুজো হয় ৷ সেই সময়ের বলিদান প্রথা আজও বহাল রয়েছে । #End
আরো পড়ুন:- ৯ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ শিক্ষক নিয়োগ! DA, HRA, বেতন সহ মাসে কত পাবেন তাঁরা?