Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্যের সাধারন এবং দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী ব্যাক্তিরা যাতে টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় কোনরকম রোগের মুখে না পড়ে, তার জন্যও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2016 সালে তৈরি করেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। যেই প্রকল্পের অধীনে প্রতিটা পরিবারকে একটি কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করার জন্য 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হয়।
কিন্তু বর্তমানে রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প এখন এক চরম আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এই স্বাস্থ্য পাতি প্রকল্পটি বাতিল করার লোককে দায়ের করার একটি জনস্বার্থ মামলা কে খারিজ করে দিয়েছে, যেটা হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৃণমূল সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য জয়। কিন্তু কেন হঠাৎ এই স্বার্থবাদী প্রকল্প বন্ধ হওয়ার কথা উঠেছে ? সেই সমন্বিত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন আপনারা এই প্রতিবেদনই।
আরও পড়ুন:– কলকাতা সিটি সিভিল কোর্টে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন
কি এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ?
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সাধারণ মানুষদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি করা একটি বিশেষ প্রকল্প হল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে একটি কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটা পরিবারকে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হয় চিকিৎসার জন্যে।
ঠিক কেন বন্ধ হতে পারে এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ?
কলকাতা শহরের একজন সুপরিচিত চিকিৎসক ডঃ কুনাল সাহা, রাজ্য সরকারের এই রাষ্ট্রপতি প্রকল্পের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। তিনি ওই মামলাতে দাবী করেন যে এই প্রকল্পটি নাকি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হচ্ছে। এছাড়াও তিনি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছেন এই মামলাতে যে রাজ্য তৃণমূল সরকার নাকি এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ জনগণের চিকিৎসা বাদ দিয়ে তাদের নির্বাচনী লাভের জন্য এই প্রকল্পটিকে আরো উজ্জীবিত করতে ব্যস্ত ।
তিনি এটাও বলেছেন যে যে সমস্ত ব্যক্তির পরিবার বেশ একটু বড় ধরনের তারা এই প্রকল্পের বরাদ্দ করা 5 লক্ষ টাকা চিকিৎসার জন্য কভারেজ পাচ্ছেন না। এছাড়াও এই প্রকল্পে রয়েছে বিভিন্ন রকম আরো সমস্যা। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কি জানালো? সেটা তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক।
ডঃ সাহার মামলার ওপরে কলকাতা হাইকোর্ট কি জানালো ?
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বিরুদ্ধে করা ডঃ সাহার জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি তে, কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলাটিকে খারিজ করে দিয়েছে এবং ঠিক কেন খারিজ করা হয়েছে সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, রাজ্য সরকার জনস্বার্থে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারে। মামলার সভাপতিত্বকারী প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানিয়েছে যে, এই প্রকল্পটি একটি নির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করে সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্তের ওপরে কাজ করে।
মূলত তার জন্য আদালত এই নিয়ে সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ করবে না স্বার্থবাদী প্রকল্পের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য পাতি কার্ডের মামলার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশনা মূলত মনে করা হচ্ছে রাজ্য তৃণমূল সরকারের একটি জয়।
আরও পড়ুন:– কুম্ভের মতো দুর্ঘটনা বাংলায় হলে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলত বিজেপি, কটাক্ষ অভিষেকের