Bangla News Dunia, দীনেশ :- রাজ্য সরকারের নারী কল্যাণমূলক প্রকল্পে এবার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগী মহিলারা যারা ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছেন তাদের এবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তবে বর্তমানে এই ভাতা পাওয়ার জন্য একটি আয়ের সীমা রয়েছে। এবার সেই সীমা তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। এর ফলে রাজ্যের বহু মহিলার সরাসরি উপকৃত হবেন।
কী পরিবর্তন আসতে চলেছে?
বর্তমানে “ওল্ড এজ পেনশন” প্রকল্পে বার্ধক্য ভাতা পেতে মাসিক আয়ের সীমা ১০০০ টাকার মধ্যে হতে হত। তবে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় স্থানান্তর হওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে এই আয়ের ঊর্ধ্বসীমা সম্পূর্ণরূপে তুলে দেওয়া হবে।
- এবার থেকে ৬০ বছর বয়স হলেই লক্ষীর ভান্ডার প্রাপকরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতা পেতে শুরু করবেন।
- নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তাদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা আয়ের সীমা আর প্রযোজ্য হবে না।
- রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
- মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে।
আরো পড়ুন :- মহাকাশে সামরিক ঘাঁটি গড়বে ভারত, শূন্যে টহল দেবে সেনা
কাদের জন্য এই উদ্যোগ?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত মহিলারা ৬০ বছর পূর্ণ হলে তারা সরাসরি বার্ধক্য ভাতা পান। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আয়ের সীমা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নতুন এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে-
- আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলারা এবার থেকে আরো বেশি পরিমাণে সুবিধা পাবেন।
- বার্ধক্য ভাতার জন্য আলাদা করে আবেদন করার আর কোনো ঝামেলা থাকবে না।
- আয়ের সীমা না থাকায় আরো বেশি মানুষ ভাতা পাওয়ার আওতায় আসবেন।
বার্ধক্য ভাতা কীভাবে পরিচালিত হয়?
- রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর মূলত “ওল্ড এজ পেনশন” প্রকল্পের অধীনে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের অর্থ সরবরাহ করে থাকে।
- এই প্রকল্পের পাশাপাশি তপশিলি বন্ধু ও জয় জোহর প্রকল্পের অধীনে তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ বার্ধক্য ভাতা পান।
- তপশিলি সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আয়ের কোনরকম সীমা নেই।
- তবে সাধারণ শ্রেণীর ক্ষেত্রে বার্ধক্য ভাতার জন্য আয়ের সীমা এখনো কার্যকর রয়েছে।
আরো পড়ুন :- মেয়েদের ‘ফুলের মতো’ বললেন খামেনেই ! হিজাব বিতর্কের মাঝে অন্য ছবি ইরানে?
কত টাকা ভাতা পাবেন?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে বার্ধক্য পাতায় সরাসরি স্থানান্তর হলে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এই ভাতার টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে সরাসরি জমা হবে।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ মহিলাদের আর্থিক সুরক্ষা এবার থেকে আরো মজবুত করবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগী তাদের জন্য বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে আয়ের সীমা তুলে দেওয়া একটা বড় সুসংবাদ।
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর এটি কার্যকর হলে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের আয়তায় আসবেন এবং অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন।