Bangla News Dunia, Pallab : মাসের শুরুতেই সকাল সকাল হয়রানির স্বীকার হতে হল যাত্রীদের। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, রাত থেকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিল শিয়ালদহ ডিভিশনের তরফে। আজ অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার, ও ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল রেল। জানা গিয়েছে কাঁকুড়গাছি ও বালিগঞ্জে ইন্টারলকিং-এর কাজের জন্য এই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে বেশ সমস্যায় যাত্রীরা।
আরও পড়ুন:– কুম্ভের মতো দুর্ঘটনা বাংলায় হলে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলত বিজেপি, কটাক্ষ অভিষেকের
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি ৫৯টি এবং ২ ফেব্রুয়ারি ৪৯টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। দুইদিন মিলিয়ে মোট ১০৮ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আর এই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্তে সব থেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে বারুইপুর লাইনের যাত্রীদের। কারণ সব থেকে বেশি ট্রেন বাতিল হয়েছে এই লাইনেই। সূত্রের খবর, ২২টি বারুইপুর লোকাল বাতিল করা হয়েছে। তবে ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, লক্ষীকান্তপুর লাইনে বাতিল ট্রেনের সংখ্যা অনেকটাই কম।
আজ কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে?
শিয়ালদহ-বারুইপুর শাখার যে ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে আপ লাইনে সেগুলি হল ৩৪৬১১, ৩৪৬১৩, ৩৪৬১৭, ৩৪৬২১, ৩৪৬২৩, ৩৪৬০১, ৩৪৬২৫, ৩৪৬২৭, ৩৪৬২৯, ৩৪৬৪৯, ৩৪৬৩৩, ৩৪৬৫১, ৩৪৬৩৭, ৩৪৬৩৯, ৩৪৬৪৩, ৩৪৬৪৫, ৩৪৬৪৭.
ডাউন: ৩৪৬১২, ৩৪৬১৪, ৩৪৬১৬, ৩৪৬১৮, ৩৪৬২০, ৩৪৬২২, ৩৪৬২৪, ৩৪৬২৬, ৩৪৬২৮, ৩৪৬৫০, ৩৪৬৩২, ৩৪৬৫২, ৩৪৬৩৬, ৩৪৬৩৮, ৩৪৬৪২, ৩৪৬৪৪। এবং ডাউন লাইনে যে ট্রেনগুলো বাতিল হয়েছে সেগুলি হল ৩৪৬১২, ৩৪৬১৪, ৩৪৬১৬, ৩৪৬১৮, ৩৪৬২০, ৩৪৬২২, ৩৪৬২৪, ৩৪৬২৬, ৩৪৬২৮, ৩৪৬৫০, ৩৪৬৩২, ৩৪৬৫২, ৩৪৬৩৬, ৩৪৬৩৮, ৩৪৬৪২, ৩৪৬৪৪।
অন্যদিকে শিয়ালদহ-সোনারপুর শাখার বাতিল ট্রেনগুলি হল আপ লাইনে ৩৪৪১১, ৩৪৪১৭, ৩৪৪১৯, ৩৪৪২৯, ৩৪৪৩১। এবং ডাউন লাইনে ৩৪৪১২, ৩৪৪১৪, ৩৪৪১৬, ৩৪৪১৮, ৩৪৪৩২, ৩৪৪৩৪। এছাড়াও শিয়ালদহ-বিবাদী বাগ আপ ট্রেন ৩০৪১১ এবং ডাউন ট্রেন ৩০৪১২, ৩০৪১৬ বাতিল থাকবে। এছাড়াও ক্যানিং-বারাসাত আপ ৩৩০৬১, মধ্যমগ্রাম-মাঝেরহাট আপ ৩০৩৫৭, ডাউন ৩০৩৫৮ সহ আরো বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল থাকবে।
ক্ষোভে ফুঁসছে যাত্রীরা
জানা গিয়েছে ট্রেন বাতিলের যন্ত্রণায় আজ অর্থাৎ শনিবার বারুইপুর স্টেশনে ডায়মন্ড হারবার লোকাল ঢুকতেই উপচে পড়ে যাত্রীদের ভিড়। ঠেলাঠেলি এবং ভিড়ের চাপে, প্ল্যাটফর্মে পড়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়। অনেক যাত্রী উঠতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এবং রেল পরিষেবাকে ধিক্কার জানান। এবং এই আবহেই যাত্রীদের তরফ থেকে উঠে আসে এই অভিযোগ যে প্রতিবার রেল রুটের একাধিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় যে যাত্রীদের সুবিধার্থে কাজ চলছে তাই ট্রেন বাতিল। কিন্তু পরিষেবা এখনো পর্যন্ত সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছল না। ট্রেন লেট হয়েই আসছে।