Bangla News Dunia, Pallab : শহরের আনাচে কানাচে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য মুরগির মাংসের দোকান। আর এইরূপ যত্রতত্র মুরগির মাংসের দোকান ওঠায় বাড়ছে দৃশ্য দূষণ এবং পরিবেশ দূষণ। মুরগি কেটে রাস্তা অপরিচ্ছন্ন করা, রক্ত ও পালক ফেলে নোংরা দিনের পর দিন জমেই যাচ্ছে। যার ফলে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বারংবার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানালেও মিলছে না ফলাফল। আর এই আবহেই এবার রুখে দাঁড়াল কলকাতা পুরসভা। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে মুরগির মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে পুরসভা।
আরও পড়ুন:– প্রথম দিনেই সাবস্ক্রিপশনের ঢল, এই IPO-তে লগ্নি করলে বাম্পার লাভ হতে পারে
মুরগির মাংস কাটা নিয়ে অভিযোগ বিজেপি কাউন্সিলরের
সূত্রের খবর গত শুক্রবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে যত্রতত্র মুরগি কাটা নিয়ে এবং দৃশ্য দূষণ নিয়ে বিজেপির প্রবীণ কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত রুখে দাঁড়ান। এবং কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের উদ্দেশে গোটা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করার আবেদন জানান। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নড়ে চড়ে বসে পুরসভা। গোটা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র। মুরগির মাংস বিক্রি নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
দৃশ্য দূষণ ঠেকাতে বড় পদক্ষেপ পুরসভার
কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বর্তমানে যেভাবে প্রকাশ্যে জ্যান্ত মুরগি কাটা হচ্ছে বাজারে বাজারে, সেটা এবার বন্ধ হতে চলেছে। কারণ, অনেকেই সামনাসামনি মুরগি কাটার দৃশ্য সহ্য করতে পারে না। অত্যন্ত অস্বস্তিকর এই গোটা বিষয়টি। তাই এর জন্য এক নতুন পদক্ষেপ আনতে পারে পুরসভা। অর্থাৎ পাঁঠার মাংসের ক্ষেত্রে যেমন প্রকাশ্যে ছাগল বা পাঁঠা কাটা যায় না। মাংস কেটে পরিষ্কার করে তা দোকানে ঝোলানো হয়। ঠিক তেমনই মুরগির মাংসের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম চালু করা হতে পারে।
অভিযান চালানো হবে শুক্রবার থেকে
পাশাপাশি, পাঁঠার মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে আগে যে ভাবে কাচ লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, তেমনই মুরগির মাংসের দোকানগুলির জন্যও নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করা হবে। তবে এই মুহূর্তে নিয়ম চালু করার আগে বাজার পরিদর্শন করতে মাঠে নামবে কলকাতা পুরসভা। কোথায় কোথায় মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে সেই সব এলাকায় সমীক্ষা করা হবে। শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে আগামী শুক্রবার থেকেই পোস্তা, বড়বাজার এবং জগন্নাথ ঘাট এলাকায় অভিযান চালাবেন কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের খাদ্য সুরক্ষা শাখার প্রতিনিধিরা। আসলে এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্যই হল কীভাবে মুরগি কাটা হচ্ছে, মুরগির পালক, রক্ত প্রভৃতি জৈব বর্জ্যগুলি কোথায় কীভাবে ফেলা হচ্ছে, ঠিকঠাক সব পরিষ্কার করা হচ্ছে কিনা দেখা।
পুরসভার এই উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রশংসার চোখে দেখেছেন শহরের একাধিক মানুষ। তাঁদের মতে পুরসভার এই পদক্ষেপ শহরের দৃশ্যদূষণ ঠেকাতে অনেকটাই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে এই উদ্যোগ কার্যকর করতে নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন নইলে নাছোরবান্দা ব্যবসায়ীরা কিছুতেই এই নয়া পরিকল্পনায় সামিল হবে না বলেই মত শহরবাসীদের একাংশের।