লক্ষীর ভান্ডার আরও সুবিধা বৃদ্ধি ! বিরাট বার্তা দিল নবান্ন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

laxmi

Bangla News Dunia, Pallab : লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে বড় আপডেট দিল রাজ্য সরকার, এবার থেকে লক্ষী ভান্ডারের সুবিধা ভোগী মহিলাদের আরো অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হবে। খুব শীঘ্রই এর সুবিধা গুলো প্রদান করতে চলেছে রাজ্য। যা বাস্তবায়িত হলে কয়েক লক্ষ মহিলা বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পটি রাজ্যের মহিলাদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করে থাকে যার ফলে মহিলাদের ছোটখাটো প্রয়োজনে অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমেছে। বর্তমানে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জনপ্রিয়তা রাজ্যের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।

লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের অনুকরণে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে নতুন প্রকল্প সূচনা হয়েছে। তবে বর্তমান রাজ্য সরকার লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা ভোগীদের জন্য বিশেষ কিছু ঘোষণা করেছেন। নিম্নে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো। যে সকল মহিলা লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা প্রতিবেদনটি বিস্তারিত দেখুন।

আরো পড়ুন: স্টেট ব্যাংকে নতুন করে ৬০০ টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ চলছে! মাসিক বেতন ৪৮,০০০ টাকা, শীঘ্রই আবেদন করুন

সামনে ২০২৬ বিধানসভা ভোট, এই ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার একাধিক নতুন প্রকল্পের সূচনা করেছেন। নতুন প্রকল্পের পাশাপাশি পুরনো প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পুরনো প্রকল্প গুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্পটি হলো লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা প্রদান করা হয়। তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলাদের ১২০০ টাকা প্রদান করা হয়। এই লক্ষী ভান্ডারে আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি রাজ্য সরকার বেশ নতুন কিছু সুযোগ সুবিধা যুক্ত করতে চলেছে।

বর্তমানে, রাজ্যের মহিলাদের ষাট বছর পূর্ণ হলে বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্বে বার্ধক্য ভাতার জন্য আলাদা করে আবেদনপত্র জমা দিতে হতো বর্তমানে তার প্রয়োজন নেই। সরাসরি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগী মহিলারা ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পরেই বয়স্ক ভাতা পেতে থাকেন, আলাদাভাবে আবেদন করার প্রয়োজন পড়ে না। তাই মহিলাদের ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর বিদ্যমান নিয়ম অনুসারে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বার্ধক্য ভাতা প্রদান করা হবে।

এছাড়াও পূর্বে বার্ধক্য ভাতা প্রদান করার ক্ষেত্রে সুবিধা ভোগীর আর্থিক অবস্থা যাচাই করা হতো। সুবিধা ভোগীর মাসিক আয় এক হাজার টাকার বেশি হলে পার্থক্য ভাতার জন্য আবেদন করতে পারতেন না। তবে বর্তমানে রাজ্য সরকার নতুন একটি সিদ্ধান্তের গৃহীত করেছেন, যেখানে বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আয়ের কোন সর্বোচ্চ সীমানা রাখা হয়নি।

লক্ষ্মীর ভান্ডার ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্প গুলি যেমন- জয় জোহর’ এবং ‘তফসিলি বন্ধু’ সহ অন্যান্য অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচিও বার্ধক্য ভাতা প্রদান ক্ষেত্রে পূর্বে নির্ধারিত আয়ের সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা ৬০ বছর বয়সে পৌঁছানোর পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনা থেকেই বার্ধক্য ভাতা পাবেন।‌ এছাড়াও বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য আগামীতে আয়ের কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন