উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভোট এলেই ইডি আসে, কিছু না পেয়ে ফিরে যায়।’ শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। এদিন সকাল থেকে সুজিতের স্টললেকের অফিস এবং রেস্টুরেন্টে হানা দেয় ইডি আধিকারিকেরা। বেলা গড়াতেই তল্লাশি নিয়ে মুখ খোলেন দমকল মন্ত্রী। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (ED) এই অভিযানকে বিশেষভাবে পাত্তা দিতে নারাজ সুজিত।
ইডির অভিযান নিয়ে বিচলিত নন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী। সুজিতের কথায়, ‘এরা প্রত্যেক বারই ভোট এলে এটা করে থাকে। বিশেষ করে যারা বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বাড়ি, অফিস সব জায়গায় যায়। আমার রেস্তরাঁতেও গিয়েছে। এটা নতুন নয়। এর আগেও রেইড করা হয়েছে। কিছু তো পায়নি। আসলে ভোটের আগে চাপ তৈরি করতে এটা করা হচ্ছে।’
শুধু সুজিত নয় ইডির স্ক্যানারে নাম রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলর নিতাই দত্তের। তাঁর বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। এই প্রসঙ্গে সুজিত বলেন, ‘ওরা নিতাইয়ের বাড়িতেও গিয়েছে। কিছু পায় না। তারপরেও আসে। এখানে তো ওদের কোনও লোকজন নেই। এটা টার্গেট করে করছে। রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ হচ্ছে। এলাকার মানুষই সার্টিফিকেট দেয় আমাদের। ওরা ওদের মতো কাজ করুক। আমাদের কাজ আমরা করব। দুর্নীতি নিয়ে অনেক কিছু বলছে। প্রমাণ থাকতে হবে তো! এখানকার মানুষ সব জানে।’
উল্লেখ্য, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সূত্র ধরে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সুজিত বসুর বাড়ি এবং অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি। টানা ১৪ ঘণ্টা তল্লাশির পর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয় দমকল মন্ত্রীর বাড়ি থেকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল দুটি মোবাইলও। তখনও অবশ্য দমকল মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, ‘কোনও কারণে তাঁর নামে যদি দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন।’ আবার গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেছেন, ‘যদি মনে করেন, এজেন্সিকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবেন, উই আর রেডি টু রিঅ্যাকশন।’ মমতার হুঁশিয়ারির রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে ইডির অ্যাকশন।














