Taxpayers: ইনকাম ট্যাক্স ও জিএসটি-র পর এবার আবার বড় বদল! বাজেটের আগেই বড় ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Taxpayers: কেন্দ্রীয় সরকার দেশের কর ব্যবস্থাকে সহজ এবং সাধারণ মানুষের সুবিধাজনক করে তোলার জন্য একের পর এক বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে আয়কর (Income Tax) এবং জিএসটি (GST)-তে একাধিক সংস্কারের পর, এবার মোদী সরকারের নজর শুল্ক দপ্তর বা কাস্টমস (Customs)-এর দিকে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আগামী দিনে কাস্টমস ডিউটি এবং শুল্ক দপ্তরের কার্যপদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হতে পারে। এই খবরটি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ নাগরিক উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কর ব্যবস্থায় বড় সংস্কারের পথে সরকার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় কর ব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কার বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই আয়কর এবং জিএসটি-তে রেট রেশনালাইজেশন বা হারের যৌক্তিকীকরণ এবং সরলীকরণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের হাতে নগদের যোগান বাড়ানো এবং দেশের সামগ্রিক খরচ বা কনজাম্পশন বৃদ্ধি করা। জিএসটি সংস্কারের সাফল্যের পর, সরকার এখন কাস্টমস বা শুল্ক ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ এবং সহজ করার পরিকল্পনা করছে।

নির্মলা সীতারমন কী বার্তা দিলেন?

সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে (HT Leadership Summit) বক্তব্য রাখার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন একটি বড় ঘোষণা করেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, শুল্ক দপ্তরের বা কাস্টমসের একটি সম্পূর্ণ “ওভারহল” বা আমূল সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আমাদের এই ব্যবস্থাকে এতটাই সহজ করতে হবে যাতে মানুষ বা ব্যবসায়ীরা এটি মেনে চলা কঠিন বলে মনে না করেন।”

অর্থমন্ত্রীর মতে, আয়কর ব্যবস্থায় যে সফল পরিবর্তনগুলি করা হয়েছে—যেমন স্বচ্ছতা, ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট (faceless assessment) এবং উন্নত প্রশাসন—সেগুলি এখন কাস্টমসেও প্রয়োগ করা উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, সরকারের লক্ষ্য হল সরকারি হস্তক্ষেপ কমানো, পণ্য খালাস বা ক্লিয়ারেন্সের গতি বাড়ানো এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে যেকোনো ধরণের স্বেচ্ছাচারিতা দূর করা।

জিএসটি-র পর এবার লক্ষ্য কাস্টমস

২০২৫ অর্থবর্ষে সরকার ইতিমধ্যেই আয়কর এবং জিএসটি-র ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার শুল্ক দপ্তরের ক্ষেত্রেও একই ধরণের স্বচ্ছতা আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী জানান যে, প্রস্তাবিত সংস্কারগুলি হবে ব্যাপক এবং এর মধ্যে কাস্টমস ডিউটির হারের যৌক্তিকীকরণও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

নিচে আয়কর এবং কাস্টমস সংস্কারের মূল লক্ষ্যগুলির একটি তুলনা দেওয়া হলো:

বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্য
আয়কর (Income Tax) স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট, এবং প্রশাসনিক উন্নতি।
জিএসটি (GST) রেট রেশনালাইজেশন এবং সরলীকরণ।
কাস্টমস (Customs) সরকারি হস্তক্ষেপ হ্রাস, দ্রুত পণ্য খালাস, এবং শুল্ক হারের যৌক্তিকীকরণ।

আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সেই বাজেটে এই সংস্কারগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে। এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে জটিলতা কমবে এবং ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ (Ease of Doing Business)-এর পথ আরও প্রশস্ত হবে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন