TET Mandate: শিক্ষকদের ওপর মারাত্মক প্রভাব, NCTE-কে ফের চিঠি রাজ্যের শিক্ষকদের, বাধ্যতামূলক টেট মামলায় ছাড়পত্রের আবেদন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

TET Mandate: রাজ্যের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য টেট (TET) বাধ্যতামূলক করার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এবার আসরে নামল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক সংগঠন। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (WBPTTA) এই বিষয়ে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE)-এর হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি বিস্তারিত দাবিপত্র পেশ করেছে। এটি একটি “নম্র অনুস্মারক” (humble reminder) বলে জানা গেছে, কারণ এর আগেও গত ৪ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

দাবিপত্রের মূল বিষয়বস্তু

শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে NCTE-এর চেয়ারপার্সন অধ্যাপক পঙ্কজ অরোরাকে পাঠানো এই চিঠিতে মূল উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে টেট বাধ্যতামূলক করা নিয়ে। সংগঠনের দাবি, এই রায়টি সারা দেশজুড়ে প্রায় ৪০ লক্ষ এবং কেবল পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় ৩ লক্ষ শিক্ষককে সরাসরি প্রভাবিত করেছে। এই শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন। এই পরিস্থিতিতে, NCTE-এর উচিত অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এবং সুপ্রিম কোর্টের সামনে একটি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক এই চরম অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পান।

কেন এই জরুরি আবেদন?

এই অভূতপূর্ব সংকটের সূত্রপাত হয় গত ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে ঘিরে। সেই রায়ে, কর্মরত শিক্ষকদের জন্যও টেট পাস বাধ্যতামূলক করা হয়। শিক্ষক সংগঠনের মতে, এই রায়ের ফলে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরের লক্ষ লক্ষ শিক্ষক, যারা বছরের পর বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছেন, তারা হঠাৎ করেই এক চরম মানসিক উদ্বেগের মধ্যে পড়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই রায়টি শিক্ষকদের মধ্যে এতটাই গভীর প্রভাব ফেলেছে যে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

শিক্ষকদের ওপর মারাত্মক প্রভাব

সংগঠন তাদের চিঠিতে জানিয়েছে যে, এই রায়ের ফলে সৃষ্ট মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন রাজ্যে কিছু শিক্ষক আত্ম*হননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে ন্যাশনাল মিডিয়ার খবরে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও কিছু শিক্ষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সংগঠনের মতে, শিক্ষকরা এতটাই উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন যে, তারা শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলছেন। এই ভয় এবং অনিশ্চয়তার পরিবেশ লক্ষ লক্ষ শিক্ষকের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ ও আশা

ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন আশা প্রকাশ করেছে যে NCTE এবং তার সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই বিষয়টির গুরুত্ব বুঝবে। তারা আশা করছে, NCTE দ্রুততার সাথে সুপ্রিম কোর্টের কাছে শিক্ষকদের এই অবস্থা তুলে ধরে একটি সমাধান সূত্র বের করবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক রুদ্র জানিয়েছেন, তাদের মূল লক্ষ্য হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষকদের এই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত করা এবং তাদের সম্মানজনকভাবে শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করা।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন