TET Mandatory: শিক্ষকদের টেট রায়, মোদীকে চিঠি সৌমিত্র খাঁ’র! সুপ্রিম নির্দেশের পর বড় পদক্ষেপ, অর্ডিনেন্সের দাবি

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

TET Mandatory: রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি বড় অংশের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশের পর থেকে চাকরি নিয়ে এক প্রকার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ২০২৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় শিক্ষকদের টেট (Teacher Eligibility Test) বা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট সংক্রান্ত যে রায় ঘোষণা করেছে, তা নিয়ে আইনি এবং প্রশাসনিক মহলে জোর চর্চা চলছে। এমতাবস্থায় শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

এই জটিল পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের সুরাহা দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি। খবর অনুযায়ী, গত ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই গুরুত্বপূর্ণ চিঠিটি তাঁর হাতে তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঠিক কী দাবি জানালেন সাংসদ?

সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর চিঠির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ২০১১ সালের পূর্ববর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় নিযুক্ত শিক্ষকদের সুরক্ষা প্রদান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে এই নির্দিষ্ট অংশের শিক্ষকদের টেট পরীক্ষা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চিঠিতে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন যে, আইনি জটিলতা কাটাতে এখন কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

সাংসদ তাঁর চিঠিতে যে বিষয়গুলির ওপর আলোকপাত করেছেন, তা নিচে আলোচনা করা হলো:

  • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বনাম নিয়োগ: সাংসদ খুব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, যে সমস্ত কর্মরত শিক্ষক বা ইন-সার্ভিস টিচাররা ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির (Recruitment Notification) ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এখানে নিয়োগের তারিখের চেয়ে বিজ্ঞপ্তির তারিখটিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
  • জরুরি আইনি হস্তক্ষেপ: সুপ্রিম কোর্টের ১লা সেপ্টেম্বরের রায়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। যদিও চিঠিতে ভুলবশত রায়ের তারিখ ১লা অক্টোবর লেখা হয়েছিল, তবে মূল বিষয়বস্তু ১লা সেপ্টেম্বরের রায়কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।
  • অর্ডিনেন্সের প্রস্তাব: প্রচলিত আইনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই সাংসদ প্রস্তাব দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে অর্ডিনেন্স জারি করে বা আইনি সংশোধনীর মাধ্যমে এই শিক্ষকদের টেট থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ

বিষয়টি সঠিকভাবে বোঝার জন্য নিচে একটি সারণী দেওয়া হলো:

ঘটনা তারিখ/বিবরণ
সুপ্রিম কোর্টের রায় ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫
দাবিকৃত ছাড় ২০১১ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিযুক্তদের টেট অব্যাহতি

ভবিষ্যৎ কোন পথে?

পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সৌমিত্র খাঁ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছেন এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে (PMO) গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অর্ডিনেন্স জারি করা কেন্দ্রের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় এবং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী আইনি প্রক্রিয়া। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় আশার আলো দেখছেন রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এখন দেখার বিষয়, কেন্দ্র সরকার এই আবেদনের ভিত্তিতে আগামী দিনে শিক্ষা মন্ত্রককে কোনও বিশেষ নির্দেশিকা পাঠায় কি না।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন