Warning: exif_imagetype(/wp-content/themes/jannah/assets/images/google-news.svg): Failed to open stream: No such file or directory in /home/u842153353/domains/banglanewsdunia.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 3338

Warning: file_get_contents(/wp-content/themes/jannah/assets/images/google-news.svg): Failed to open stream: No such file or directory in /home/u842153353/domains/banglanewsdunia.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 3358

TET Mandatory Case: টেট মামলার ঐতিহাসিক মোড়! এবার শুনানি হবে বৃহত্তর বেঞ্চে, সুপ্রিম কোর্টের বড় সিদ্ধান্ত

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

TET Mandatory Case: শিক্ষকদের টেট পাশ বাধ্যতামূলক মামলায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এবার এই মামলাটি একটি বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চ এই মামলাটিকে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়েছেন একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের জন্য, যেখানে এই মামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং বিস্তৃত শুনানি সম্ভব হবে। এই সিদ্ধান্তটি শিক্ষকদের জন্য একটি বড় খবর, কারণ এর ফলে টেট-এর অনিবার্যতা এবং প্রাসঙ্গিক আইনি প্রশ্নগুলির একটি স্থায়ী সমাধানসূত্র মেলার আশা তৈরি হয়েছে।

মামলার প্রেক্ষাপট এবং বর্তমান পরিস্থিতি

সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকতার জন্য টেট (Teacher Eligibility Test) বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চে এই টেট-এর অনিবার্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে যে, এই বিষয়ের সঙ্গে একাধিক আইনি প্রশ্ন এবং জটিলতা জড়িয়ে আছে। তাই শুধুমাত্র দুজন বিচারপতির বেঞ্চে এর নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। মামলার গভীরতা এবং গুরুত্ব বিচার করে, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ এই মামলাটিকে একটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। তাঁদের মতে, এই মামলার সঙ্গে জড়িত সমস্ত সাংবিধানিক এবং আইনি দিকগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার এবং পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে, যা একটি বৃহত্তর বেঞ্চেই সম্ভব।

বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি-র অর্থ কী?

সাধারণত, সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দুজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত হয়। যখন কোনো মামলায় জটিল সাংবিধানিক প্রশ্ন বা আইনের ব্যাখ্যা-র প্রয়োজন হয়, তখন মামলাটিকে একটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়। বৃহত্তর বেঞ্চে বিচারপতির সংখ্যা তিন, পাঁচ বা তার বেশি হতে পারে। এই ধরনের বেঞ্চের সিদ্ধান্ত ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের চেয়ে বেশি বাধ্যতামূলক এবং নজির হিসেবে গণ্য হয়। টেট মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তরিত হওয়ার অর্থ হলো:

  • এই মামলার শুনানি আরও বিস্তারিতভাবে হবে।
  • মামলার সঙ্গে জড়িত সমস্ত আইনি এবং সাংবিধানিক প্রশ্নগুলির চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে।
  • এই মামলার রায় ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হয়ে থাকবে।

শিক্ষক এবং চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এর প্রভাব

সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে শিক্ষক এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে যেমন মামলার নিষ্পত্তিতে আরও কিছুটা সময় লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তেমনই অন্যদিকে একটি স্থায়ী এবং সুস্পষ্ট সমাধান মেলার আশাও উজ্জ্বল হয়েছে। যেহেতু বৃহত্তর বেঞ্চের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে, তাই টেট-এর ভবিষ্যৎ এবং শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে যাবে বলে আশা করা যায়। এখন দেখার বিষয়, প্রধান বিচারপতি কবে এই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন এবং কবে থেকে এই মামলার শুনানি নতুন করে শুরু হয়। সমস্ত শিক্ষক এবং চাকরিপ্রার্থীরা এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন