TET Verdict Modification: টেট মামলার নতুন মোড়: সুপ্রিম কোর্টে নতুন মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন এবং রিভিউ পিটিশন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

TET Verdict Modification: শিক্ষকদের টেট (Teacher Eligibility Test) সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর রায়কে ঘিরে রাজ্যজুড়ে শিক্ষক মহলে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল, তা এবার নতুন মোড় নিয়েছে। সম্প্রতি এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন (MA) দাখিল করা হয়েছে, যা শিক্ষকদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। একই সাথে, তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার এবং কেরালা স্কুল টিচার্স ইউনিয়ন সহ একাধিক পক্ষ আরও রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছে।

মূল বিষয়বস্তু:

  • মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন (MA): গত ১৪ই অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বিমল কুমার বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলায় একটি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন ফাইল করা হয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি ১লা সেপ্টেম্বরের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করছে।
  • রিভিউ পিটিশনের সংখ্যা বৃদ্ধি: পূর্বে দায়ের করা ১০টি রিভিউ পিটিশন এবং একটি রিট পিটিশনের সাথে আরও দুটি রিভিউ পিটিশন যুক্ত হয়েছে।
    • ১২ই অক্টোবর তারিখে তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার সরাসরি একটি রিভিউ পিটিশন ফাইল করেছে।
    • ১৩ই অক্টোবর কেরালা স্কুল টিচার্স ইউনিয়ন আরেকটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে।

    সব মিলিয়ে এখন ১২টি রিভিউ পিটিশন এবং ১টি রিট পিটিশন বিচারাধীন।

মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের সম্ভাব্য কারণ:

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে দুটি প্রধান বিষয় সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনার চেষ্টা করা হতে পারে:

  • শিক্ষকদের ছাড়ের আবেদন: ১লা সেপ্টেম্বরের রায়ে বলা হয়েছিল যে, যাদের পাঁচ বছরের বেশি চাকরি আছে এবং যারা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানোর জন্য টেট পাশ করেননি, তাদের প্রত্যেককে টেট পাশ করতে হবে। মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের একটি সম্ভাব্য উদ্দেশ্য হল, এনসিটিই-এর ২০১০-১১ সালের বিজ্ঞপ্তির তারিখের আগে যাদের নিয়োগ হয়েছিল অথবা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল, তাদের এই টেট পাশ করার বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেওয়া। এটি সেই শিক্ষকদের জন্য একটি বড় স্বস্তি আনতে পারে যারা দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষকতা করছেন কিন্তু টেট পাশ করেননি।
  • সময়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব: সুপ্রিম কোর্ট টেট পাশ করার জন্য দুই বছরের সময়সীমা দিয়েছিল, যা ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর। মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই সময়সীমাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করা হতে পারে। এর কারণ হিসাবে অনেক রাজ্যের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতাকে তুলে ধরা হতে পারে, যেখানে লক্ষাধিক নন-টেট শিক্ষক রয়েছেন এবং তাদের দু’বছরের মধ্যে টেট পাশ করানো সম্ভব নাও হতে পারে। অতীতে এসএসসি ২০১৬-এর ক্ষেত্রেও সময়সীমা বাড়ানোর উদাহরণ রয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি:

১লা সেপ্টেম্বরের সুপ্রিম কোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে বর্তমানে মোট ১২টি রিভিউ পিটিশন, ১টি রিট পিটিশন এবং ১টি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন সক্রিয় রয়েছে। এই মামলাগুলির শুনানি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত লক্ষ লক্ষ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় এর গভীর প্রভাব পড়তে পারে।

শিক্ষক মহল এখন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছে। এই মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন এবং রিভিউ পিটিশনগুলি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মে কী ধরনের পরিবর্তন আনবে, তা সময়ই বলবে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন