Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : একবিংশ শতাব্দীতেও সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কোথাও মহিলারা নিরাপদ নন। ঘরে হোক বা বাইরে, যেকোন গ্রাম হোক বা শহরে নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয় পৃথিবীর প্রায় সব প্রান্তের মহিলাদের। তবে এই পৃথিবীতে এমন একটি জায়গা আছে যেখানে শুধু মাত্র মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট। সেখানে নাকি কোনও রকম পুরুষের প্রবেশের কোনো অধিকার নেই। যদিও বা কেউ জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেন তবে সেখানকার বাসিন্দা মহিলারা তাদের নিজস্ব নিয়মে কঠোরতম শাস্তি দিয়ে থাকেন।
এমনই এক জায়গা হল আফ্রিকা মহাদেশের কেনিয়া দেশের উমোজা গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা হলেন মহিলারা আর সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। এই গ্রামে যারা বসবাস করছেন সেই মহিলাদের অধিকাংশই ধর্ষণের শিকার। শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের মুখোমুখি হয়ে তারা তাদের নিজেদের ঘর বাড়ি সব ছেড়ে দিয়ে এই গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে এই গ্রামে ৪৭ জন মহিলা এবং তাদের সঙ্গে ২০০ জন শিশু আছে।
গ্রামের নিয়ম অনুসারে যদি কারো ছেলে মায়ের সঙ্গে থাকে তাহলে ১৮ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরেই তাকে সেই গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই নিয়ম মেনেই সব মহিলারা নিরাপদে রয়েছেন ওই গ্রামে। বর্তমানে এই গ্রাম একটি বিশেষ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন দেশ ও বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ভ্রমণের জন্য আসেন সেই গ্রামে। তবে মানতে হয় সেখানকার কড়া নিয়ম।
গ্রামের বাসিন্দা জেনি নামের এক মহিলা জানিয়েছেন ব্রিটিশ সৈন্যদের হাতে ধর্ষিতা হতে হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি এখন সেই ঘটনার কথা তার স্বামীকে জানিয়েছিলেন তখন স্বামীও তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। জুডিয়া নামের এক মহিলাকেও বাড়ি থেকে বিয়ের নামে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই সমস্ত মহিলাদের কথা ভেবে মহিলাদের জন্য আলাদা গ্রাম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন রেবেকা লোলোসোলি। এখন ওই গ্রামে নিরাপদে সম্পূর্ণ রয়েছেন ওই সকল মহিলারা।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল