আগামী মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর, প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এই তালিকায় যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের নাম না থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি দেখাতে হবে কমিশনকে। প্রয়োজনীয় নথি সময়মতো জমা না দিলে ফাইনাল ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে চিন্তার কারণ নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু নথি জমা দিলে ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ রয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে সেই নথির তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক, কি কি নথি দেখাতে হবে খসড়া ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে।
খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে, হিয়ারিংয়ে কি কি নথি দেখাতে হবে আধার কার্ড ছাড়া, দেখুন –
১) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগের ব্যাঙ্কের পাশবই / পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্ট কিংবা এলআইসির নথি বা স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া সার্টিফিকেট থাকলে দেখাতে পারবেন।
২) কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হলে চাকরির নথি। আর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য পেনশনের নথি দেখাতে পারবেন।
৩) জন্মের শংসাপত্র।
৪) ভারতীয় পাসপোর্ট।
৫) মাধ্যমিক কিংবা তার সমতূল্য পরীক্ষার শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি বা এডমিট কার্ড।
৬) রাজ্য সরকারের তরফে যদি বাড়ি পেয়ে থাকেন, তাহলে সেই বাসস্থানের সার্টিফিকেটও দেখাতে পারবেন।
৭) সরকারের তরফে যদি জমি পেয়ে থাকেন, তাহলে সেই জমির শংসাপত্র দেখাতে পারবেন।
৮) এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া ফ্যামিলি রেজিস্টার শংসাপত্র দেখাতে পারবেন।
৯) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট (বন দপ্তরের)।
১০) জাতিগত শংসাপত্র অর্থাৎ SC / ST / OBC সার্টিফিকেট।
১১) অসমের নাগরিকদের ক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী দেখাতে হবে।
১৬ই ডিসেম্বরের খসড়া ভোটার তালিকায় যদি নাম না থাকে৷ তাহলে আপনাকে উপরোক্ত নথি সহকারে ১৬ ই ডিসেম্বর থেকে ১৫ই জানুয়ারি ২০২৬ তারিখের মধ্যে দাবি জানাতে হবে। এরপর ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২৬ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট নথি যাচাই করাতে হবে হেয়ারিং এ গিয়ে। আরও বিশদে জানার জন্য আপনার বুথ লেভেল আধিকারিক (BLO) এর সাথে যোগাযোগ রাখুন।














